কয়রা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মঠবাড়ি গ্রামের মৃত সামছুর বিশ্বাসের ছেলে আবু সাইদ বিশ্বাসকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) কয়রা উপজেলার ৪ নং কয়রা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার নং সিআর ১২৩/২৫। তাং ৪/৩/২০২৫ ইং। মামলার অন্যন্যা আসামীরা হলেন মঠবাড়ি গ্রামের আজিজুল বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, আবু সাইদ বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান রানা, মৃত মোকছেদ বিশ্বাসের ছেলে জিয়াদ আলী, মৃত ইসমাইল মোল্যার ছেলে ইয়াছিন ও খুলনার বয়রা গ্রামের সেলিম চৌধুরীর ছেলে ফরহাদ হোসেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তিনি মঠবাড়ি গ্রামের সুভাষ চন্দ্র মন্ডল, নিরাপদ মন্ডল,মোঃ শাহাবাজ আলী ও আছাদুল ইসলামসহ ১৬ জন জমির মালিকদের নিকট থেকে ৫ বছর মেয়াদে ৩/৪ হাজার টাকা হারিতে নিয়ে সেখানে বাগদা ও অন্যান্য মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু ১ নং আসামীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা বাদির নিকট ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বলে এই এলাকায় মৎস্য ঘের করতে হলে বাৎসরিক চাঁদা দিতে হবে। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা বাদীর মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে টানাজাল ও খেওলা জাল দিয়ে মাছ ধরতে থাকলে বাদী ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করে। এসময় আসামীরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে চতুর্রদিক থেকে ঘিরে ধরে এবং ও ঘেরের মাছ লুট করে নেয়। তখন সকল আসামীরা ঘেরের রাস্তা-ঘাট কেটে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং ঘেরের বাগদা,হরিনা,পারশে,ভেটকি তেলাপিয়া মাছ ধরে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তাদের কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করলে আসামীদের হাতে থাকা দা,কুড়াল,হাতুড়ি,করাত,লাঠি দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি মারাত্বক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য ঘেরের বাসা ভাঙ্গচুর সহ ঘেরের আটন পাটা এবং বাসার ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ভেঙ্গে পার্শবর্তী নদীতে ফেলে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তপৃর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।