রংপুর নগরীর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এক নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসপাতাল পরিচালকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রসূতি মায়ের অভিযোগে নবজাতককে উদ্ধার ও হাসপাতাল পরিচালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন। এর আগে গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অযুহাত ও রোগীর পরিবারের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে নবজাতকটিকে বিক্রি করা হয়। নবজাতকটির বাবার সহায়তায় হাসপাতাল পরিচালক ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার পূর্বপরিচিতদের কাছে পাঁচ দিন বয়সী নবজাতকটিকে বিক্রি করে দেন।
আটকৃতরা হলেন- হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও নগরীর কামারপাড়া এলাকার মৃত নজির উদ্দিন সরকারের ছেলে এম এস রহমান রনি (৫৮), শিশুটির ক্রেতা মধ্য পীরজাবাদ এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন রতন (৩০) ও রুবেলের স্ত্রী জেরিনা আক্তার বিথী (৩০)।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, গত (শনিবার) ১৩ জানুয়ারি নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন শাপলা রোডস্থ হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ২০২নং রুমে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন ভুরারঘাট এলাকার লাবনী আক্তার (২২)। সেখানে ওই দিন রাতে সিজারের মাধ্যমে একটি নবাজাতক (ছেলে) জন্ম দেন তিনি। এর চারদিন পর ১৭ জানুয়ারি ক্লিনিকের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অজুহাত ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রসূতি মায়ের অগোচরে সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রির উদ্যোগ নেন হাসপাতালের পরিচালক। শিশুটির বাবা ওয়াসিম আকরামের সহায়তায় হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্ব পরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী ও রুবেল হোসেন রতনের নিকট ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রসূতি লাবনী আক্তার কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে রোববার (২১ জানুয়ারি) নগরীর মধ্য পীরজাবাদ এলাকা হতে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এম এস রহমান রনি, রুবেল হোসেন রতন, জেরিনা আক্তার বিথীকে আটক করে।ওই প্রসূতি মা আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলেও জানান আরপিএমপির ওই পুলিশ কর্মকর্তা।