যশোরে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশেই পালন হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে যশোরে বঙ্গাব্দ ১৪৩২ বরণ করে নেওয়া হয়েছে
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে যশোর পৌর উদ্যানে এসো হে বৈশাখ সঙ্গীত দিয়ে সূচনা করে উদীচী যশোর। একইসময় যশোর মুসলিম একাডেমীসহ ৩০টি স্পটে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে কবিগান, পালাগান, পঞ্চকবির গান, আধুনিক গান, লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য, বাউল গান পরিবেশন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রার আগে অনুষ্ঠান মঞ্চে হয় সংক্ষিপ্ত পরিসরের একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে ‘জাতীয় সংগীত’ ও ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গান গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পরে দেশব্যাপী নববর্ষের শোভাযাত্রার প্রথম উদ্যোক্তা ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী ও নেতৃবৃন্দ।
সম্মাননা অনুষ্ঠানের পরপরই দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় শহরে একটি বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি যশোর কালেক্টরেট চত্বর থেকে বেরিয়ে বকুলতলা, দড়াটানা, চৌরাস্তা, কেশবলাল সড়ক হয়ে যশোর ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।
যশোরে এবারের শোভাযাত্রায় সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন প্রাণ প্রকৃতি পাখপাখালির মোটিফ, ঘোড়ার গাড়িসহ গ্রামবাংলার চিরায়ত বিভিন্ন সামগ্রী বহন করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নববর্ষের বাহারি পোশাক পরে নিজস্ব বাদ্য বাজিয়ে নেচে গেয়ে নববর্ষকে বরণ করতে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়
এ উৎসব দেশে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করবে এমনটা আশা তাদের