জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এর মহা পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেছেন- বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে কবি নজরুলের জীবনের উল্লেখযোগ্য স্থান কুমিল্লার মুরাদনগরের কবিতীর্থ দৌলতপুর ছিলো একটি অবহেলিত জনপদ। এখানে জাতীয় কবির স্মৃতি সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এর মহা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা মুরাদনগরের কবিতীর্থ দৌলতপুর ও কুমিল্লাস্থ নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় অংশিজনদের সাথে মতবিনিময় সভা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য কালে এসব কথা বলেন তিনি। নজরুল ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা কেন্দ্রের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-উদযাপন উপলক্ষে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় কবি ইনস্টিটিউট কুমিল্লা মিলনায়তন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এর মহা পরিচালক, গীতিকার, কবি ও কথাসাহিত্যিক লতিফুল ইসলাম শিবলী। এসময় তিনি বলেন, দৌলতপুর ও কুমিল্লা নিয়ে সরকারের এবং নজরুল ইন্সটিটিউটের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। “নজরুলের বৈশাখ- দ্রোহ, প্রেম ও সাম্য, জাতীয় কবি নজরুলের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এর পরিচালক কে, এম, আল-আমীন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এর সহকারী পরিচালক, মোঃ ফখরুল আলম, আবৃত্তি শিল্পী কাজী মাহতাব সুমন, ঐতিহ্য কুমিল্লার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ইনকিলাব মঞ্চ কুমিল্লার সভাপতি গোলাম সামদানী, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আল-আমীন প্রমূখ। এসময় আলোচকগন কুমিল্লা ও দৌলতপুরে নজরুল স্মৃতি বিশেষ ভাবে সংরক্ষণ, আগামী নজরুল জন্মবার্ষকীর জাতীয় অনুষ্ঠান কুমিল্লা ও দৌলতপুরে উদযাপদের দাবি জানান। এসময় নজরুল অনুরাগী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ নাচ-গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নজরুল ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা কেন্দ্রের শিল্পীরা। মহাপরিচালক শিবলী দৌলতপুর পরিদর্শন কালে কবি পত্নি নার্গিসের স্বজন বাবলু আলী খান, নার্গিস নজরুল শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক নূরুল ইসলাম মাস্টার, নজরুল নিকেতনের আশেক মিয় এবং টিটন খান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।