1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা আহবায়ক কমিটি অনুমোদন সুন্দরবনে বিষাক্ত থাবা, আটক ৪ মাছ শিকারী বিশেষ চিহ্ন থাকলে দাড়াতে হবেনা লাইনে ছাগল পালন করে স্বচ্ছল সাইফুর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৫ ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ডোমার উপজেলায় নতুন ইউএনও শায়লার যোগদান এবং নাজমুলের বিদায় সংবর্ধনা সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ নৌকা জব্দ আমতলীর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার বদলগাছী বিষ্ণুপুর ব্রিজের নিচে পরিত্যক্ত মাংস উদ্ধার, জনমনে শঙ্কা

জিআই স্বীকৃতি বেদেনা লিচুর রপ্তানির উদ্যোগ চান কৃষকরা

হাসান আলী
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে
লিচুর জন্য বিখ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। চাষের জন্য উপযোগী বেলে-দোআঁশ মাটি হওয়ায় এই অঞ্চলে লিচুচাষে আগ্রহের কমতি নেই কৃষকের। এখানে চাষ হয় মাদ্রাজি, বোম্বাই, বেদানা, চায়না থ্রি, কাঁঠালি আরো অনেক জাতের লিচু। তবে বেদেনা জাতের লিচুকে বলা হয় ‘লিচুর রাজা’।

স্বাদ, গন্ধ, রস এবং মিষ্টতায় অনন্য এই লিচু এবার পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক জিআই পণ্যের স্বীকৃতি।

গত ৩০ এপ্রিল দিনাজপুরের বেদেনা লিচু জিআই পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। দীর্ঘদিনের এই স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দিত কৃষক ও বাগানমালিকরা। তবে তারা শুধু স্বীকৃতি নয়, লিচু বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ দেখতে চান। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য লিচু উৎপাদনে কাজ চলছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর ও বিরল উপজেলার মাধববাটি এলাকাকে বেদেনা লিচুর প্রধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে ধরা হয়। এই অঞ্চলের উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়া লিচু উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সরজমিনে মাসিমপুর এলাকায় দেখা গেছে, গাছের পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় লিচু ঝুলছে, যেগুলোতে লালচে রং ধরতে শুরু করেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই লিচু পরিপক্ব হয়ে বাজারজাত শুরু হবে। মাঠপর্যায়ে এখন চলছে পরিচর্যা, পানি সেচ ও কীটনাশক স্প্রে।
বাগানমালিক রফিকুল বলেন, ‘বেদেনা লিচু স্বীকৃতি পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের। এতে বিদেশি আগ্রহ বাড়বে, দেশের সুনাম হবে, কৃষকেরাও লাভবান হবেন। তবে শুধু স্বীকৃতিতে সীমাবদ্ধ না থেকে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে হবে।’লিচুচাষি মহব্বত আলী বলেন, ‘স্বীকৃতি পাওয়াটা অনেক বড় অর্জন। লিচু রপ্তানি শুরু হলে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। কৃষি কর্মকর্তারা আরও সহযোগিতা করলে, মানসম্মত উৎপাদন বাড়বে।’
বাগানমালিক আসাদুল হক বলেন, ‘এখানে প্রতি পিস লিচু সাত থেকে আট টাকায় বিক্রি হয়, ঢাকায় একটু বেশি। বিদেশে রপ্তানি হলে এখান থেকেই ১১ থেকে ১২ টাকা দামে বিক্রি করতে পারবো। এতে আমরা লাভবান হবো, দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে। বাজারে লিচুর সরবরাহ বেশি হলে দাম পড়ে যায়, রপ্তানি হলে সে সমস্যা থাকবে না। হিমাগার নির্মাণ হলে আরও সুবিধা হবে।’

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com