গত মঙ্গলবার অফিস চলাকালীন সময়ে অসুস্থ হলে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতালে নেওয়া হয় পর সেখান থেকে সুস্থ হলে রাতে তাকে বাসায় নেয়া হয়। গত বুধবার অফিস চলাকালীন সময়ে আবারও অসুস্থ হলে তাকে মাগুরা আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায় অনামিকা দাসের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায় তার মৃত্যুর খবর শুনে ইতিমধ্যে তার আত্মীয়-স্বজন মাগুরা জেলায় এসেছেন। অনামিকা দাসের দুই বছর বয়সী একটা পুত্র সন্তান আছে।
জেলা ক্রীড়া অফিস ও পারিবারিক সূত্র জানায়, পদাধিকার বলে অনামিকা দাস মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক বৈঠক চলছিল, যেখানে জেলা প্রশাসক সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন অনামিকা দাস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কিছু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। রাতেই তিনি বাসায় ফিরে যান। পরদিন সকালে আবার হাসপাতালে যান কিছু পরীক্ষার জন্য এবং সেখান থেকে বাসায় ফেরেন। দুপুরে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হলে আবার হাসপাতালে আনা হয়, কিন্তু তখন তিনি আর বেঁচে ছিলেন না।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহসিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুপুর ১টার দিকে অনামিকা দাসকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনি আরও জানান, চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী অনামিকা দাস ব্রেইন স্ট্রোকে মারা গেছেন।
জেলা ক্রীড়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে অনামিকা দাস অফিসে উপস্থিত হন। সেদিন স্টেডিয়ামে ক্রীড়া অফিসের এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল তার। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি এবং কার্যালয় থেকে হাসপাতাল হয়ে শহরের নতুন বাজার এলাকার ভাড়া বাসায় ফিরে যান।
অনামিকা দাসের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার বানিবহ গ্রামে। তিনি নির্মল কুমার দাসের মেয়ে। ২০১৯ সালে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা হিসেবে মাগুরায় কর্মজীবন শুরু করেন এবং চাকরি শুরুর পর থেকেই সেখানে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী কৌশিক কুমার দাস খুলনার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এ দম্পতির ২ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।