আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মঠবাড়িয়ার টিকিকাটা গ্রামের কৃষিজমির একটি ডোবা থেকে ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে গতকাল বুধবার বিকেলে পঙ্গু বাবার অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। ধারনা করা হচ্ছে অটোরিকশা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে হত্যা করে লাশ মাঠের ডোবায় ফেলে রাখে। নিহত তামিম হোসেন মঠবাড়িয়া পৌরশহরেরর দক্ষিণ মিঠাখালী মহল্লার অটোচালক ইয়াকুব আলী ফরাজির ছেলে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শেণীতে পড়ালেখা করছিলো। থানা ও পারিবারিকে সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া পৌরশহরের দক্ষিণ মিঠাখালী মহল্লার বাসিন্দা অটোচালক মো.ইয়াকুব ফরাজি সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ি। তিন সদস্যেও পরিবারের ভরনপোষণ চলতো তার অটো চালিয়ে। চরম অর্থকস্টে পড়ায় পরিবারের একমাত্র স্কুল পড়–য়া ছেলে তামিম হোসেন হোসেন স্কুলের ফাঁকে ফাঁকে বাবার অটোরিকশা চালিয়ে পরিবারে অর্থের জোগান দিত। বুধবার বিকালে সে বাবার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরিবারের স্বজনরা গভীর রাত পর্যন্ত তার খোঁজ পায়িনি। আজ বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিাকাটা সাইফী নগর মাদ্রাসা সংলগ্ন কৃষিজমির ডোবায় লাশ ভাসতে দেখে গ্রামবাসি থানায় খবর দেয়। শিশুটির পরিবারের স্বজনরা খবর পেয়ে থানায় এসে তার লাশ সনাক্ত করে। নিহত তামিম হোসন এর শোকাহত মা তাজেনুর বেগম বলেন, আমার স্বামী পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছে। পেটের দায়ে আমার ছেলে মাঝে মাঝে বাবার অটোরিকশা চালিয়ে পরিবাওে খরচ চালায়। বুধবার বিকালে সে অটো নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। দুর্বৃত্তরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়েছে। আমি আমার শিশু হত্যার কঠোর বিচার চাই। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামবাসির কাছে খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।