বরগুনার আমতলীর সোনাখালী গ্রামে কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাত ১২ টায় র্যাব-৮,সিপিসি-১ ও র্যাব-৪, সিপিসি-২ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি হাবিব প্যাদা (৫৫)ও মো. জিয়া প্যাদাকে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন কলমা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৃত মো. মঞ্জু প্যাদার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল আমতলী উপজেলার আঠার গাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী প্যাদার ছেলে আবুল প্যাদা তার বাড়ীর দরজায় ৫টি কলাগাছ রোপন করেন। একই বাড়ির হাবিল প্যাদা ওই জমি তার দাবী করে দরজায় লাগানো ৫টি কলাগাছ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে কেটে ফেলেন। এ নিয়ে ১১ এপ্রিল শুক্রবার রাতে উভয়পক্ষ বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। বাগ বিতন্ডার শব্দ শুনে একই বাড়ির মৃত মোনসের আলী প্যাদার ছেলে আলমগীর প্যাদা ঘরের বাইরে এসে তাদের বাগবিতন্ডা থামানোর চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হোচেন প্যাদা, চাচাত ভাই হাবিল প্যাদা ও ভাতিজা শাহারুল প্যাদার নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে আলমগীর প্যাদার উপর হামলা শুরু করেন। হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে আলমগীর প্যাদা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরার পর হাবিল প্যাদা, হোচেন প্যাদা ও শাহারুল প্যাদা আলমগীর প্যাদার বুকে আঘাত করেন। তাকে রক্ষার জন্য ভাতিজা জুলহাস প্যাদা (২৮) এবং ভাতিজি শাহিনুর বেগম (৩২) এগিয়ে গেলে হাবিল প্যাদার লোকজন তাদেরকেও পিটিয়েও জখম করেন। তাৎক্ষনিক স্বজনরা গুরুতর আহত আলমগীর প্যাদা, জুলহাস প্যাদা ও শাহিনুর বেগমকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আলমগীর প্যাদাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
ভিকটিমের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩১) বাদী হয়ে বরগুনা জেলার আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঢাকা জেলার সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান।