কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক সাইফুর রহমান। উন্নত জাতের ছাগল পালন তাকে স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছে। নিজে স্বচ্ছলতা অর্জনের পাশাপাশি অন্যদের স্বচ্ছলতা লাভের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুবিধাবঞ্চিত ৮৬টি এলাকা ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন সাইফুর রহমান। প্রকল্পের সুফলভোগী হওয়ায় ২০২৩ সালে তাকে বিনামূল্যে উন্নত জাতের দু’টি ছাগল ও একটি ছাগল পালনের ঘর দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ থেকে পাওয়া জ্ঞান নিয়ে যত্ন আর পরম মমতায় ছাগল পালন শুরু করেন। তিন বছরে ওই দু’টি ছাগল থেকে তার খামারে ছাগলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০টি। ছাগল বিক্রির টাকায় তিনি তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে কিনে দিয়েছেন সেলাই মেশিন। লেখাপড়া শেখার পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ করে তার মেয়ে যেন অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারে। এছাড়া তিনি তার বোনকে ছাগল উপহার দিয়েছেন। সেই ছাগল ছানা প্রসব করেছে। যা তার বোনের সংসারে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করছে। সাইফুর রহমান বলেন, ছাগল পালন করে পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। একটি ছাগল দুই থেকে তিনটি বাচ্চা দেয়। ছাগল বিক্রির টাকায় মেয়েকে সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছি। সংসারের খরচ চালাতে সমস্যা দেখা দিলে ছাগল বিক্রি করে টাকা জোগাড় করি। খামারে এখনও ১০টি ছাগল আছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডা. মো. শামসুর রহমান সুমন বলেন, সাইফুর রহমানের সফলতা প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের ফল। ছাগল পালনের মাধ্যমে আরও অনেক পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।