২৯ জানুয়ারী দুপুর ২টায় পারভেজ প্রধান ফতুল্লায় তার ব্যাক্তিগত অফিসে সাংবাদিকদের সাথে এক বিবৃতিতে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ ও প্রকাশিত সকল সংবাদ মিথ্যা। গত কয়েকদিন যাবৎ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল সহ স্থানীয় প্রত্রিকাতে আমাকে থানার দালার সম্মোধন করে আপত্তিকর কিছু সংবাদ প্রকাশ করা হয় যদিও এইসবের সকল কিছুই মিথ্যা ও বানোয়াট। পারভেজ প্রধান আরও বলেন কিছুদিন আগে ফতুল্লার শিয়াচর এলাকায় প্রতারক মিলন এর পাল্লায় পড়ে আমার বিরুদ্ধে টাকার মাধ্যমে এধরনের মিথ্যাচার করাচ্ছে ।
মিলন মুলত একজন প্রতারক হিসেবেই তার এলাকাতে চিহ্নিত । আপন মামাতো ভাই খোকন দুবাই থেকে কিছু স্বর্নালংকার দেশে পাঠায় মিলনের মাধ্যমে। কিন্তু মিলন সেই স্বর্নগুলো খোকনের পরিবারকে না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে খোকনের ভাই ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করে মিলনের বিরুদ্ধে। অপরদিকে মিলনও তার ঘরে তল্লাশী করার মিথ্যা অযুহাত নিয়ে খোকনের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি অভিযোগ দায়ের করে। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে থানায় এনে একটি মিমাংসারও পদক্ষেপ নেয় এবং মিলন সেই স্বর্নগুলো খোকনের পরিবারকে ফেরত দেবে মর্মে থানায় স্বীকারোক্তিও প্রদান করেন। থানার কাজ শেষে সুচতুর মিলন তার এলাকা থেকে শামীমসহ বরিশালে তার শশুরবাড়িতে আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশের সাথে সখ্যতা প্রসঙ্গে পারভেজ প্রধান বলেন, আমি ফতুল্লার সন্তান। থানার পাশেই আমার অফিস। সেই সুবাদে বাসা থেকে বের হলে প্রতিটি পুলিশ সদস্য’র দেখা হয় এবং কথাও হয়। পুলিশের সাথে সুসম্পর্ক রাখাটা কি দালালের কাজ হয় কিনা তা আমি জানতে চাই। কলেজছাত্রী অপহরণ ও প্রতিবন্ধীর ঘটনা মিথ্যা লেখা হয়েছে আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু জানিনা সম্পূর্ণটা মিথ্যা বানোয়াট। সাংবাদিকদের প্রতি আমিসহ পুরো দেশের মানুষই শ্রদ্ধাশীল। তবে কারোর মিথ্যা প্ররোচনার উপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশ করাটাও সাংবাদিকের নয়। মূল ঘটনা ও সত্যতা যাচাই-বাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করাটা একজন সাংবাদিকের মুল কাজ। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।