কক্সবাজার টেকনাফ থানাধীন শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৮টি ড্রামে মোট ৪৩২ লিটার অকটেনসহ সমুদ্রপথে অবৈধ জ্বালানি অকটেন পাচারকারী চক্রের এক চোরাকারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেপ্তার।
র্যাব-১৫ দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে সার্বক্ষনিকভাবে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী রেখে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার জেলার সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কতিপয় চোরাকারবারী জ্বালানী তৈল অকটেনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবৈধভাবে চোরাচাইপথে পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করছে মর্মে তথ্য পায়
র্যাব-১৫। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার উক্ত চোরাকারবারী ও পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার এবং পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল জানতে পারে যে, অবৈধভাবে পাচার করার উদ্দেশ্যে কতিপয় পাচারকারী দাহ্য পদার্থ অকটেনসহ কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণপাড়া শাহপরীর দ্বীপ এলাকার নুর মোহাম্মদ এর বসত ঘরের পূর্ব পাশের কক্ষে অবস্থান করছে। বর্ণিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৪.৪০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে থাকা অকটেন ভর্তি প্লাস্টিকের কনন্টেইনার কক্ষের ভিতরে ফেলে রেখে পালানোর চেষ্টাকালে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং অপর দুইজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারী এবং পলাতক ব্যক্তির নাম-ঠকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির হেফাজত হতে ০৮টি ড্রামে সর্বমোট ৪৩২ (চারশত বত্রিশ) লিটার অকটেন (যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৬,১৬০/- টাকা) জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীর বিস্তারিত পরিচয় মোহাম্মদ ইব্রাহিম (২২), পিতা-সুলতান আহম্মদ, মাতা-সালমা আক্তার, সাং-উত্তরপাড়া (শাহ্পরীর দ্বীপ), সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সাবাজর বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক চোরাকারবারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাকারবারীর সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানী তৈল পাচার করে থাকে। অদ্য অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের লক্ষ্যে জ্বালানী তৈল অকটেন উক্ত স্থানে মজুদ করেছিল এবং একপর্যায়ে উপরোল্লিখিত আলামতসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।