ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার চুরি ও ৯ মাস বয়সী এক শিশুকে অপহরণের চেষ্টাকালে সালমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছেন স্থানীয় জনতা। একই ঘটনায় গত পাঁচ মাস পূর্বে একই উপজেলার বুড়িশ^র ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে আটক হন তিনি।
রোববার বিকালে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে স্থানীয় মায়েদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আটক সালমা বেগমের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা। তিনি এর আগেও অপহরণের ঘটনায় উপজেলায় একাধিকবার আটক হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য,‘পেটের দায়ে করছি। কোন কাজ নাই। স্বামী মারা গেছে, ছোট দুইডা মেয়ে আছে, তাই এসব করি।’
প্রসঙ্গত: গত বছরের ৪ মার্চ ‘খালা’ আতঙ্কে বিদ্যালয়গামী শিশু শিরোনামে সমকালের ৭ এর পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, গত ১৫দিন ধরে কুলিকুন্ডা গ্রামের কুলিকুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিলো। কখনো স্কুলের টিউবওয়েলে পানি খেতে কিংবা আশপাশের বাড়িতে কাজ চাইতে, ভিক্ষা করতে গিয়ে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করতেন। গ্রামের অনেকেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখলেও হাতে-নাতে ধরা না পড়ায় কেউ কিছু বলছিলেন না।
রোববার ২৫ মে দুপুরে দাতমন্ডল আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শাহিন মিয়ার স্ত্রী তাদের ৯ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে ঘওে ঘুম পাড়িয়ে পাশের রান্না ঘরে কাজ করছিলো। হঠাৎ তার শিশু সন্তানের কান্নার শব্দ শুনতে পেরে মূল ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার বাচ্চাকে কোলে করে একজন নারী পালিয়ে যাচ্ছে। তার পর তিনিও চিৎকার দিলে স্থানীয়রা মিলে বাড়ির পাশে আটক করে।
শাহিন ভ‚ইয়া বলেন, ‘ভেবেই গা শিউরে উঠছে। আর কয়েক মূহুর্ত দেরি হলে আর আমার মেয়েকে খুঁজেই পেতাম না। ওর উদ্দেশ্য কি ছিলো বুঝতে বাকি নেই।’
বুড়িশ^র ইউনিয়নের গোলাম জিলানী বলেন, আমাদের ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে পাঁচ মাস পূর্বে এক শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে জনতার হাতে আটক হয়। পরে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। এর আগেও সে একই ঘটনায় ধরা খেয়েছে বলে ফেসবুকে ভিডিও দেখেছি।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।