রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ১০তলা বিশিষ্ট শহীদ এমএইচএম কামরুজ্জামান হলের ছাদ ধসের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ ও কাজের গুণগত মান পরীক্ষা করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটির সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ ইন্সট্রাকশনের প্রতিনিধি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
জনসংযোগ প্রশাসক বলেন, কেউ চাপা পড়েনি নিশ্চিত হওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন ধসের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ ও কাজের গুণগত মান পরীক্ষা যাচাই করবে। এক্ষেত্রে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে আলোচিত রূপপুর পারমানবিক বালিশ কাণ্ডে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ কন্সট্রাকশকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক জানান, ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এক্ষেত্রে অনিয়ম হয়নি। তবে এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এর আসে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ এমএইচএম কামরুজ্জামান হলের ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। এতে পাঁচজন শ্রমিক আহত হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কোনো নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।