পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সি.আর মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি সাইফুলকে গ্রেফতার করেছেন মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
এস.আই মোঃ ইলিয়াস হোসেন খান ও এ.এস.আই আরিফ হোসেন এবং সঙ্গীও ফোর্সের সহযোগিতায় আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটে মির্জাগঞ্জ থানার সামনের আব্বাসের তেলের দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়.সি.আর ১১৬/২৫ মামলার অরেনভুক্ত ১ নং আসামি সাইফুল (২৬) কে।
ভুক্তভোগী মোঃ হাসিবুল ইসলাম (২৪) জানান আমার ভাই তারিকুল ইসলাম সুবিদখালী বন্দরে একটি গার্মেন্টসের দোকান করে, কিছুদিন আগে ১ নং আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম আমার বাড়িতে ঈদগাহের কাজ চলছে সেখানে গিয়ে তিনি আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন এবং এ বিষয়ে আমরা তার সাথে কথা বলি এবং বোঝানোর চেষ্টা করি এটা এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ সে বলেন উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে এবং আমি অনুপয় হয়ে সেনা ক্যাম্পে দরখাস্ত করি, দরখাস্ত করার পরে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় আসামিরা এবং আমার উপর আরো চড়াও হয়। অতপর ০২/০৫/২০২৫ তারিখ রাতে দোকানের বিক্রি শেষ করেন বাড়ি ফিরছিলাম আমার সাথে ছিল
মোঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার এবং মোঃ তারিকুল ইসলাম হাওলাদার, আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম বিধায় দোকান থেকে সারাদিনের বিক্রিত টাকা এবং চাবি মোঃ জসিম হাওলাদার এর কাছে দেই কারণ আমি নিজেই মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলাম।
মির্জাগঞ্জ গ্রামস্থ বাইজিদ আহমেদের কম্পিউটারের দোকানের সামনে আসলে আসামিয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, আমাকে বেধড়ক মারধর করে জসিম ঠেকানোর চেষ্টা করলে জসিম কে মারধর করে জসিমের কাছে রাখা টাকা পয়সা এবং জসিমের ব্যবহারিত ংধসংহম ব্র্যান্ডের একটি ফোন ছিনিয়ে নেয় চাঁদাবাজরা। সাইফুল এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গঠন করে বহুত হ্রাস সৃষ্টি করে চলছে। সাম্প্রতি এক হিন্দু ভাইয়ের বউকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। ওর সাথে আরোও কয়েকজন ঈদগাহ ও গোরস্থানে নির্মাণ কাজের কন্ট্রাকটরের কাছেও চাঁদাদাবী করেন। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং এলাকাবাসী তার উশৃংখল কর্মকান্ড থেকে মুক্তি চায়। মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাওলাদার জানান আদালতের সি.আর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।