বরগুনায় বিসিক শিল্প নগরি জামে মসজিদ ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে চলছে শিল্প ও বানিজ মেলার অশ্লীল নৃত্য।মেলায় সরেজমিনে বিচিত্রা অনুষ্ঠানে অশ্রীল অংগ ভঙ্গির এমন নাচের দৃশ্য দেখা গেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র , সাকাস , লটারী বিক্রি সহ প্রতিনিয়ত শব্দ দুষনে বিগ্নিত হচ্ছে মুসুল্লিদের নামাজ সহ ইবাদতের কাজ এমন অভিযোগ করেছেন এলাকার মুসুল্লীরা। মসজিদের ইমাম হাফেজ ইব্রাহীম জানান, মসজিদের মুসুল্লিারা কষ্টে আছে। নামাজ শেষ হবার আগেই তারা শুরু করে দিচ্ছে বাদ্যযন্ত্র, মসজিদের সামনে ভাসমান দোকান , গাড়ি পাকিং ।
মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করছে মেলায় আসা নারী পুরুষগন, আমরা এই মেলার অনুমোদন যেন এখানে না হয় তার জন্য একাধীকবার আবেদন দিয়েও কাজ হয়নি। মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক রাজু পঞ্চাইত জানান, মসজিদের পাশে এমন একটি মেলা বেমানান আমরা অসহায় হয়ে পড়েই কি করবো জানিনা। অযু খানায় টয়লেটে বহিরাগত বেনামাজিদের ভীর সারাদিন শব্দদুষন। এ চাড়াও সামনে পরীক্ষা ও রমজান মাসকে ঘিরে শহরবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় চুরি সহ অন্যায় অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মন্ত্রনালয়ের লটারী বিক্রির অনুমোদন না থাকলেও প্রবেশ টিকেটের নামে লটারী তৈরি করে বিক্রি হচ্ছে জেলাব্যাপী। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলামের নিদেশে প্রত্যেক উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমিগন এই অবৈধ লটারী বিক্রেতাদের জরিমানা সহ বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহন করছেন। তবুও থেমে নেই তাদের লটারী বিক্রি বরগুনা শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে চেষ্টা চলছে লটারী বিক্রির। এ বিষয়ে বরগুনা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক গাজী আনয়ারুল হক বলেন, মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় যে কোন বাদ্যযন্ত্র শরীয়ত সম্মত নয়। মসজিদের ইবাদতের ক্ষতি হয় এমন কাজের ইসলাম বৈধ্তা দেয়নি।