বরগুনার আমতলী উপজেলার ৬নং আমতলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মনজু খানের বড় ছেলে ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন খান (৪০) দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার তিন দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে ২০২৫, সোমবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা শাহীন খানকে আমতলীর খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাঁকে মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীন খান মৃত্যুবরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহীন খান স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। হামলার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
শাহীন খানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমতলী উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আজ বুধবার (৫ জুন) সকাল ১১টায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (UNO) কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা, সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী এবং শাহীন খানের সহকর্মীরা। প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে তাঁরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
নিহতের পরিবার দাবি করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বিরোধ এর কারনে এ হামলা হতে পারে। তাঁরা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
একদিকে শাহীন খানের মৃত্যুতে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।