1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীপুরে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ১০দিনব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু সরিষাবাড়ীতে পার্টনার কংগ্রেস-২০২৫ অনুষ্ঠিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে মেঘনা ব্রিজের নিচে ইউটান নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রাম জেলায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাষাণ্ডের বিরুদ্ধে মাদারগঞ্জ মডেল থানার নতুন ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১৬ ককটেল বোমা সহ বিএনপি কর্মী আটক তানোরে ভুয়া এনজিও’র খপ্পড়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ সর্বশান্তৈ খুলনার বটিয়াঘাটায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার – ফিরোজ সরকার নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৭তম ব্যাচের পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত

কানসাট আম বাজারে নেই স্বস্তি,আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা হতাশ

Hafizur Rahaman
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

আমের ওজন নিয়ে লুকোচুরি  ও দরপতনে হতাশ আম চাষীরা। অপরদিকে বাজারেও ব্যাপক দরপতন। আমের ওজন নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনে আম সংশ্লিষ্ট ও  রাজশাহী বিভাগের সকল উপজেলা নির্বাহী  অফিসারদের নিয়ে  রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গত ৫ জুনের সিদ্ধান্ত ভেস্তে যাবার পর  ১১ জুন (বুধবার)  বৈঠকের সিদ্ধান্ত ক্রমে ৪০ কেজিতে মণ ধরে আম কেনাবেচা এবং কেজি প্রতি দেড় টাকা কমিশনে। ১২ জুন থেকে রাজশাহী বিভাগের সব আম বাজারে আম কেনাবেচার সিদ্ধান্ত হয় এবং  ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।  কিন্তু পরের দিন থেকে সিদ্ধান্ত শুধু কাগজে কলমে, থেকে বাস্তবায়ন না হওয়ার ক্ষেত্রে  চাষী-ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার একে অপরকে দায়ী করছেন। আজ সোমবার  সকালে দেশের সর্ববৃহৎ কানসাট আম বাজারে আম বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর  ইউনিয়নের আম চাষী বাবু  আহম্মেদ জানান  চার ভ্যানে প্রায়  ৫০ মণ  আম নিয়ে এসে   সকাল ১০  পর্যন্ত  বসে থেকেও আম বিক্রী করতে পারেনি। ক্রেতা আসলেও যে দাম বলছে তাতে খচর বাদ দিয়ে কিছু থাকবে না। তাও আবার গোপনে ৫২ কেজিতে মণ ধরে আম নিতে চাচ্ছেন।  এ সময় বাবু আহম্মেদ গত ১১ জুন বুধবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের নতুন নিয়মের কথা বলতেই সে বেপারী রেগে চলে গেলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কযেকজন আম বিক্রেতার  ক্ষোভের সাথে জানান, আমের ভরপুর সময়ে এ ধরনের নাটক জেলার আমকে ধ্বংস করার জন্য  তেলবাজ একটি স্বার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন কায়দা কৌশলে শিবগঞ্জের আম শিল্প ও কানসাট বাজারকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তার মতে এক যুগ আগে সাড়ে ৪২ হতে ৪৫ কেজিতে মণ ধরে বেচাকেনাই ভাল ছিল। বিনোদপুর ইউনিয়নের শামীম  বলেন  দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে আমের ব্যবসা করে আসছি। এ বছরের মত বেকায়দায় কোন বছরই পড়েনি।আমরা আম নিয়ে বিপদে পড়েছি। ।  একদিকে ওজনের জটিলতা । ক্রেতারা কাগজে কলমে কেজি উল্লেখ্য করলে পরোক্ষভাবে ৫২ কেজিতে মণ ধরেই কিনছে। অন্যদিকে প্রতি কেজিতে দেড় টাকা করে কমিশনও দিতে হচ্ছে । রবিবার ও সোমবার কানসাট  বাজারে  বেশিরভাগ আড়তদার ৫২ কেজিতে মণ ধরে খিরসাপাত আম ১৪ শো  টাকা থেকে ২২শো টাকা , ল্যাংড়া আম আট শো  টাকা থেকে  ১২শো  টাকা, লখনা আম  চার শো  টাকা থেকে পাঁচ শো  টাকা,বোগলাগুঠি  ছয় শো থেকে সাত শো টাকা,গুঠি তিন শোক শো থেকে চার শো,কাটিমন ২৩ শো  দরে কেনাবেচা হচ্ছে। কানসাটের আম ব্যবসায়ী ও চাষী তোহরুল ইসলাাম জানান, সরকার কর্তৃক জি আই ঘোষিত খীরসাপাত আমের রেট কিছুটা ভাল ছিল। ৩২ শো মণ দরে বিক্রী করেছি। কিন্তু কেজি দরে আম বিক্রীর সিদ্ধান্ত হবার পর থেকে ক্রেতারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় গড়ে ১৪ শো টাকা দরে বিক্রী করতে হচ্ছে। তনি জানান এক ভ্যান বা আট মণ বিক্রী করে পেয়েছি ১১,২০০ টাকা। কেজি দরে দেড় টাকা হরে কমিশন দিতে হয়েছে ৪৮০ টাকা,খাজনা  ১১০ টাকা, শ্রমিক খরচ ৭০০ টাকা,ভ্যান খরচ ৭০০ টাকা,খাওয়া খচর৮০০ ও অন্যান্য খরচ ৩০০০ টাকা। অন্যদিকে মোবারকপুর ইউনিয়নের রায়হান  আলি জানান, প্রথম দিকে লখনা আম  ৫২/৫৩ কেজিতে মণ ধরে  ১১০০ টাকা মণ দরে বিক্রী করেছি। গতকাল এক ভ্যান লখনা আম কানসাট বাজারে  মাত্র   ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রী করেছি। কানসাট বাজারে আম বিক্রী করতে আসা অনেক আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের দাবী স্বার্থন্বেষী তৃতীয় পক্ষকে বাদ দিয়ে আম চাষী/ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের আলোচনা করে যৌক্তিক স্বার্থ রক্ষার সিদ্ধান্তের কঠোর বাস্তবায়ন হলে  বাজার হবে সিন্ডিকেট মুক্ত,চাষী পাবে প্রকৃত দাম,আড়তদার পাবে তাদের নায্য কমিশন। চাঙ্গা হবে জেলার অর্থনীতি। এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলি জানানা,চাষী,আড়তদার সহ আম সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে  রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক  আম কেনাবেচা হওয়া কথা। তারপর নানা অভিযোগ পরোক্ষভাবে শুনছি।  এ সপ্তাহের শেষের দিকে আবারো আম সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আলোচনা করে প্রকৃত আম চাষী ও আড়তদারদের সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com