মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসলাম বিদ্বেষী ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়ে ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে যে হুংকার দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ২৪ ঘন্টা না যেতেই তা যেনো ধূলোয় মিশে গেছে এখন। ইরানের ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে আমেরিকার চালানো সেই হামলার জবাবে এবার পাল্টা হামলা চালিয়ে ট্রাম্পের কলিজায় কাঁপন ধরিয়ে দিলো ইরান।
তেহরান ভিত্তিক বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের দাবী অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো ভয়াবহ বিমান হামলার জবাবে ইরান আজ ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাহরাইনে অবস্থিত ৫ম নৌবহরের ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এতে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মার্কিন রণতরী এমনটিই বলছে ইরানী প্রশাসন।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ইহুদিবাদী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মুখে বলেছিলেন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাবেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়াবেন কি না বা ইরানে সরাসরি হামলা চালাবেন কি না? কিন্তু এরপরও দুই দিন না যেতেই ইরানে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়ে বসেন আমেরিকার সেনারা। বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করে চালানো সেই হামলাকে সফল বলে দাবী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ইরান বলছে মার্কিন হামলার আগেই সরিয়ে নেওয়া হয় সমস্ত পারমাণবিক সরঞ্জাম।
এদিকে তেহরানের গণমাধ্যম সূত্রে ইরানের হামলার বিষয়ে জানা যায়, বাহরাইনের রাজধানী মানামার পার্শ্ববর্তী এনএসএ বাইরাইন ঘাঁটির কাছে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় সকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও সাইরেন বাজতেও শোনা গেছে।
ইরানি ইসলামি রেভল্যুশনারি গাড আইআরজিসি দাবি করেছে, তারা দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি ড্রোন স্কোয়াড্রন ব্যবহার করে “মারাত্মক প্রতিশোধ” নিয়েছে। যদিও পেন্টাগন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বাহরাইনের ঘাঁটির চারপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে হঠাৎ করেই আমেরিকার ঢুকে পড়া আর ইরানে হামলা চালানো এরপর আবার ইরানের পাল্টা হামলা, সব কিছু মিলে যেনো টালমাটাল এখন পুরো বিশ্ব। এমন চলতে থাকলে যে কোন সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্বের পরাশক্তি সব দেশগুলো, এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হিসেবে রাশিয়া-চীন ও উত্তর কোরিয়ার মত পরাশক্তির ইরানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া বিষয়টি তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ মহল।