বগুড়ার গাবতলী উপজেলা মহিসাষাবান ইউনিয়নের সোনাকানিয়া গ্রামের শাহাপাড়া এলাকার পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাত ও প্রাননাশের হুমকির ঘটনায় প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়া শহরের মালতিনগর পাইপাড়া এলাকার জনৈক মারিয়া মাহাফুজ নামে এক নারী।আজ সোমবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,আমার বাবার মৃত্যুর পর আমাদের সোনাকানিয়ার শাহাপাড়া এলাকার সব সম্পত্তি আত্মসাত করার চেষ্টা করছে আমার বাবার চাচাতো ভাইরেরা। ২০০৭ সালে আমার বাবা মারা গেলে আমার বৃদ্ধ মা এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। বাবা ছাড়া আমাদেও পরিবার অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়লে আমার বাবার নিজের কোন ভাই বোন না থাকায় তার চাচাতো ভাইয়েরা কথিত অভিভাবকত্ব গ্রহন করেন। আমার বাবার ছোট চাচা এস এম আজাহার আলীর দুই ছেলে এস এম মনিরুল আলম জুন ও এসএম মঞ্জুরুল আলম মুন তারা উভয়েই আমাদের সম্পত্তি দেখভাল করতে থাকেন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও আমাদের সম্পত্তির লোভে পড়ে আমার বাবার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তানকে আমার বাবার সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে। উক্ত সন্তানকে আমার বাবার সন্তান সাজিয়ে রাতের আধাওে নিজেদের নামে সম্পত্তি লিখে নেয়। ভুয়া দলিল বানিয়ে সম্পত্তি লিখে নিলেও বর্তমানে আমার পরিবারই সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। আমার বাবার প্রথম স্ত্রীর আগের ঘরের নুরুননবী নয়ন নামে যে সন্তান রয়েছে তার ভোরন পোষন এবং স্কীকৃতির বিষয়ে কখনও কোন কথা আগে তোলেনি। কয়েক বছর আগে থেকে জুন আর মুন দুই ভাই মিলে চক্রান্ত করে তার নাম সামনে আনছে। আমার বাবার প্রথম স্ত্রীর সাথে আমার বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু হঠাত কওে জুন ও মুন কয়েক বছর আগে আমার বাবার ডিভোর্স দেয়া স্ত্রীর সন্তানকে নিয়ে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য চক্রান্ত করে আসছে। আমার বাবার প্রথম স্ত্রীর আগের সন্তান নুরুনবীর সার্টিফিকেটেও আমার বাবার নাম নেই। সেখানে আব্দুল খালেক নামে এক ব্যাক্তির নাম আছে। সুতারাং সমস্ত প্রমান সাপেক্ষে আমাদেও পরিবার উক্ত নুরুননবী নয়নকে এবং তার সমস্ত দলিলকে ভুয়া বলে গণ্য হয়। এদিকে ২০২৪ সালে আমাদের পরিবারের সমস্যার কারনে আমাদেও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার চেষ্টা করলে জুন ও মুন তাতে বাধা প্রদান করেন। এমনকি ক্রেতাদের ভয়ভীতি দেখান এবং সম্পত্তি তাদেও বলে দাবি করেন। এছাড়া তারা আদালতে আমাদের সম্পতি তাদের দাবি করে একটি স্থায়ী ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার মামলঅ নং ১০১/২৪। যাতে কওে আমার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি আমরা বিক্রি কিংবা কোন স্থাপনা করতে না পারি। এরপর আমার পরিবার বাদি হয়ে ৪৬৭,৪৬৮,৪০৬,৪২০,১০৯ ধারায় একটি ফোজদারি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১০১৬/২৪। অন্য আরও দুটি ভুয়া জাল,যোগসাজসি,অকার্যকর দলিল বাতিলের মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ১১৭/২৫। ১০১/২৪ মামলাটি দীর্ঘ দেড় বছর চলার পর বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা শেষে আমাদের পক্ষে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আদেশ দেন। কিন্তু জুন ও মুন পুনরায় উচ্চ আদালতে আপিল করেন। যা এখনও চলমান। যার নং ৪৭/২৫। এমতবস্থায় আমাদের সম্পত্তির উপর আইনি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমার পরিবার তাদের নিজস্ব বসতবাড়িসহ বিভিন্ন সম্পত্তি মাফজোখ করার জন্য একজন আমিনকে নিয়ে আসি। খবর পেয়ে জুন ও মুন ক্ষিপ্ত হয়ে গাবতলী থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত থানার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এসআই সোহাগ পুলিশ তদন্তের আগে জমি মাফকোজ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তার এই নিষেধ করা বিজ্ঞ আদালদের রায়ের বিরুদ্ধচারন। গাবতলী থানার ওসি সেরাজুল ইসলাম আমাদেরকে তলব করেন এবং সতর্ক করে দেন এবং উক্তস্থানে যাতে কোন প্রকার বিশৃংখলা ঘটনা না ঘটে। এসব ঘটনার পরেই জুন ও মুন আমাদের প্রান নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিবারের সকল সদস্যের নিরাপত্তা চেয়ে এবং সম্পত্তি আত্মসাত করার চেষ্টা কারী জুন ও মুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান।