অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার সিমলাপল্লী গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত বোরহান সোহরাওয়ার্দীর সাথে গত প্রায় ৫ বছর পুর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক নেত্রকোনা জেলার মাকসুদা আক্তার সুমি নামক এক নারীর সাথে বিয়ে হলেও বিয়ের পর থেকেই বোরহান সোহরাওয়ার্দী সুমির উপর বিভিন্ন অমানবিক জুলুম,অত্যাচার চালায়। নতুন বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে এমন আচরণ করার কারণ হিসাবে স্ত্রী সুমি জানতে পারে তার স্বামী বোরহান সোহরাওয়ার্দী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জিন্নাত আরা জলি নামে এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। জলি ভবানীপুরের জালাল উদ্দীনের মেয়ে। পেশায় একজন গার্মেন্টস কাপর ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তা। বোরহান জলির সাথে পরকীয়ায় করে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে তাকে ময়মনসিংহের মাসকান্দায় বন্ধুর বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রস্তাবে তালবাহানা করলে জলি বোরহানের কর্মস্থল ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অভিযোগ করলে বোরহান তাকে বিয়ে করতে চাইলেও স্ত্রীর বাধার মুখে পড়ে। এতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এক শালিসি দরবারে বোরহান জরিমানা দিয়ে জলির অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ায় স্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যার চেষ্টায় তার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে বোরহান। নিক্ষেপকৃত এসিড থেকে রেহাই পেতে স্ত্রী সুমি হাত দিয়ে আটকালে এতে এসিড হাতে লেগে পুড়ে যায়। এক পর্যায়ে সুমির সঙ্গে বিয়ের বিষয়টিও অস্বীকার করতে থাকেন। মারধর করতে থাকেন সুমিকে। এই ঘটনায় সুমি তার স্বামী বোরহানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে স্ত্রীকে মামলা তুলে নিতেও হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বোরহান।
সুমির স্বজনদের অভিযোগ, সুমির স্বামী সরকারি কর্মচারী বোরহান পরকীয়ার বাধা সরিয়ে দিতেই তাকে মুখে এসিড ঢেলে হত্যার চেষ্টা করেছে। পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে এখন অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে তাকে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্বামী বোরহান।
সুমির এক আত্মীয় বলেন, ‘পাচ বছর সংসার করার পর সুমিকে তার স্বামী বলেছে যে তাদের নাকি বিয়েই হয়নি। অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল তার স্বামী বোরহান । সেই সম্পর্কে বাধা দেয়ায় সুমির মুখে এসিড ঢেলে হত্যা করার চেষ্টা করলে হাতে বাধা দেওয়া এসিড লেগে সুমির হাত পুড়ে যায়।
মাকসুদা আক্তার সুমির সহকর্মীরা জানান, সুমির গায়ের রং শ্যামলা এবং অল্প বয়সী। বোরহানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে। বোরহান সোহরাওয়ার্দী সরকারি চাকরী করে,সুমিকে রেখেই কয়েক মাস ধরে শুনছি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় বোরহান । সেই প্রেমে বাধা দেওয়ার কারণেই বোরহান সুমিকে মেরে ফেলতে এসিড নিক্ষেপ করে। ভাগ্যিস এসিড হাতে লেগে হাত পুড়ে। তারা বলেন শুনেছি সরকারি চাকরিজীবীরা নম্র ও ভদ্র হয় । কারন নম্র ও ভদ্র না হলে তার দ্বারা জনসেবা আশা করা যায় না,সুমির স্বামীর মত এরকম অভদ্র ও উগ্র-মেজাজী অ্যাসিড-সন্ত্রাস কিভাবে জনপ্রশাসনের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
সরকার যেখানে অ্যাসিড-সন্ত্রাস রোধে আইন প্রণয়ন করেছিল। তৈরি করেছিল মনিটরিং সেল। সেখানে একজন সরকারি কর্মচারী নিজের স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ করার পরও কিভাবে স্ব-পদে বহাল আছেন এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।