সুনামগঞ্জের
ধর্মপাশা উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আইনুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ জুন) গভীর রাতে ভুক্তভোগী তরুণী নিজে ধর্মপাশা থানায় উপস্থিত হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে হেফাজতে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল আইনুল হকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছরখানেক ধরে চলা সম্পর্কের মধ্যে মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ, ছবি ও ভিডিও আদান-প্রদান এবং দেখা-সাক্ষাৎ চলত। গত ২৬ জুন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার দিন বিকেলে কনস্টেবল আইনুল হক মেসেঞ্জারে তরুণীকে ধর্মপাশার মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে ডেকে নেন। সেখানে থেকে তাকে সুনামগঞ্জ শহরে নিয়ে গিয়ে এক আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে অভিযোগ। পরদিন তারা ধর্মপাশায় ফিরে এলেও বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই কনস্টেবল নানা অজুহাত দিতে থাকেন। ২৯ জুন তরুণী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা শেষে আবার বিয়ের কথা তুললে আইনুল হক যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপরই তরুণী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল আইনুল হকের বাড়ি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ইসলামপুর দুভাগ গ্রামে।