ভোলার মনপুরায় অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রকে হাসান মাষ্টার এর জালের গোডাউনে বলাৎকারের ঘটনায় আলোচিত সেই বদিউজ্জামান মাদ্রাসা’র শিক্ষক আওয়ামী লীগ সমর্থক মো: হাসান মাষ্টার এবং তার জালের গোডাউনের ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা ইলিয়াস কে এখনো আইনের আওতায় আনেনি প্রশাসন ।
আওয়ামী লীগের সমর্থক হাসান মাষ্টার মনপুরা উপজেলার ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড এর বদিউজ্জামান দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও মাষ্টার হাট বাজারের জাল বট ব্যাবসায়ী। তিনি ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মৃত হাজী আবদুল মান্নান এর ছেলে ।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, (শনিবার ২৮ জুন) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা খোকন রাজের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জিসান (১৩) কে বদিউজ্জামান মাদ্রাসার শিক্ষক হাসান মাষ্টার এর জাল বটের গোডাউন এর ভিতর তারই ম্যানেজার ইলিয়াস শিশু জিসান কে ঘটনার দিন রাতে তার বাবার পাঠানো বিকাশের টাকা উঠিয়ে মাষ্টার হাট থেকে বাসায় জাওয়ার সময় ইলিয়াস তাকে ডেকে হাসান মাষ্টার এর জাল বটের গোডাউনে নিয়ে বলাৎকার করেন ।
সম্প্রতি ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী খোকন রাজের ১৩ বছরের ছেলেকে। হাসান মাষ্টার এর জালের গোডাউনে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে। হাসান মাষ্টার এর জাল বটের গোডাউন এর ম্যানেজার ইলিয়াস জোরপূর্বক ভাবে তাকে বলাৎকার করে বলে জানান জিসানের পরিবারের সদস্য’রা ।
জিছানের মা জানান, আমি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করার কথা বল্লে। জামায়াত,বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে হাসান মাষ্টার তার জাল বটের গোডাউন এর ভিতর ইউপি সদস্য সিরাজ কাজী, জামায়াত নেতা পশু চিকিৎসক শাখাওয়াত,বিএনপি নেতা শহিদ,রহিম,গাউছসহ বিচারক গন ইলিয়াস এর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে মিমাংসা করে। তিনি আরও জানান আমরা মামলা অথবা সংবাদ সম্মেলন করলে আমাদের নিরাপত্তা দিবে কে? এই ভয়ে আমরা ঝামেলায় জরাতে চাইনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিছানের চাচা জানান
আমার ভাতিজার সাথে হাসান মাষ্টার এর ম্যানেজার যে-ই অনৈতিক কাজ করেছে এর বিচার চাই। এরা একটা ছেলেকে নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করতে দেয়না। আপনার মেয়ে আমার মেয়ে কি ভাবে নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করবে।
ইউপি সদস্য সিরাজ কাজী মুঠো ফোনে সাংবাদিক দের বলেন শনিবার রাতে হাসান মাষ্টার আমার কাছে কল দিয়ে আমাকে তার জালের গোডাউনে আসতে বলেন। এসে দেখি অনেক লোক জড়ো হয়ে আছে। হাসান মাষ্টার আমাকে শিশু বলৎকার এর বিষয়ে বিস্তারিত সব কিছু বলে। হাসান মাষ্টার এবং জামায়াতের অনেক নেতা কর্মী সহ এই ঘটনার সত্যতা পেয়ে ইলিয়াসের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করি।
এই ব্যাপারে জামায়াত নেতা সাখাওয়াত ডক্টর। সাংবাদিকদের বারাবাড়ি করতে নিষেধ করেন। এবং সাংবাদিকদের সাথে মিমাংসা করার চেষ্টা করেন।
হাসান মাষ্টার কে তার জালের গোডাউনে অনৈতিক কাজের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
আপনাদের যদি কোন কথা বলার থাকে তাহলে রাহাদ উকিল এর সাথে কথা বলেন।
রাহাদ উকিল এর সাথে কেন কথা বলবো এই কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন। আমাকে রাহাদ উকিল বলছে আপনার কাছে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবেন আমার সাথে কথা বলতে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আহসান কবির জানান। এই বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে আমার আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।