রায়গঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত মাসে প্রায় পঞ্চাশ এর অধিক গরু চুরি হয়েছে এতদঞ্চল থেকে। গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নছিমন জাতীয় ট্রাক, শব্দবীহিন পিকাপ, সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভুক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার পাবেন না এ আশংকা বা পুলিশি হয়রানির ভয়ে থানায় অভিযোগও দেন না। ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে। ধামাইনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নিলেন চন্দ্র মাহাতো বলেন, প্রতি রাতে গরু ঘরে চোরের দল হানা দিয়ে থাকে। যাদের গরু আছে তারা রাত জেগে পাহারা দেয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অত্র উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগায়। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে। রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় পঞ্চাশ এর অধিক গরু চুরি হয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ডুমরাই এলাকা থেকে পৃথক রাতে ১৬টি গরু চুরি হয়েছে। একই ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষীকোলা থেকে ২টি, মোজাফফরপুর থেকে ৬টি, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া থেকে ১টি, সোনাখাড়া ইউনিয়নের সোনাখাড়া থেকে ৬টি এবং গোপালপুর থেকে ২টি গরু চুরি হয়েছে। সব মিলিয়ে চুরি হওয়া গরুর সংখ্যা ৩৩টি। এসব ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী।