ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের রাউৎহাট-হাজীপুর পঞ্চগ্রামের একমাত্র সংযুক্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে রয়েছে। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কটি বর্তমানে সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন অন্তত ৫ টি গ্রাম সহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গতকাল রবিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের পুরোটা জুড়েই বড় বড় গর্ত ও উঁচু নিচু টিলা।
মনিচং থেকে আন্দিরপাড় পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৫০ শতাংশ অংশে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে গভীর খাদ সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ইট উঠে গেছে, কোথাও কর্দমাক্ত কাদা, আবার কোথাও কেবল বালু ও পানির স্রোত বইছে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চন্ডিদ্বার, মজলিশপুর, চান্দাইসার, মনিচং, দিগিরপাড়, রাউৎহাট, হাজীপুর, মনকশাইরসহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এছাড়াও অন্তত ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, হাই স্কুল কিন্ডারগার্টেন এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের মুসল্লিরা এই সড়ক ব্যবহার করেন।
বিগত বন্যায় সড়কের ইট ও প্রিজম স্তর ভেঙে গিয়ে বালু বেরিয়ে আসে, যার ফলে সৃষ্ট হয় অসংখ্য খাঁদ ও ছোট বড় গর্ত । এরপর প্রতি বর্ষায় টানা বৃষ্টিপাতে সড়কটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
শুধু গত এক সপ্তাহে এই সড়কের গর্তে পড়ে ৩টি পিকআপ ভ্যান ও ৪টি অটোরিকশা দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে চালকসহ অন্তত তিনজন যাত্রী আহত হন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই সড়কের দুরবস্থার বিষয়টি বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিগত সরকারের আমলে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে একাধিকবার আবেদন করলেও কেউ প্রতিকার পায়নি বলে জানান তারা।
বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, “এই এলাকার মানুষ অতি দরিদ্র। ফলে তাদের দাবি-দাওয়া যথাসময়ে উপর মহলে পৌঁছায় না, তাই সমস্যাগুলো বছরের পর বছর অবহেলিতই থেকে যায়।”
এলাকাবাসীর জোর দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এই সংযুক্ত সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।