ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ বলেন, ‘এই জায়গা থেকেই জুলাই আন্দোলনের শুরু হয়েছিল। তাই এটিকে জুলাই চত্বর হিসেবে ঘোষণা করছি। জুলাই চত্বর এখন থেকে হবে আমাদের চেতনার জায়গা ও শক্তির জায়গা। যেকোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে জুলাই চত্বর থেকে আমরা দমন করব। যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাঁদের ঋণ আমরা শোধ করতে পারব না।’
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় বেলুন উড়িয়ে টাউন হল সড়ক দ্বীপকে ‘জুলাই চত্বর’ ঘোষণা করে ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় মো. মোখতার আহমেদ এসব কথা বলেন।এসময় জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি বিজরিত টাউন হল সড়ক দ্বীপকে
ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূথানে শহিদদের স্মরণে ‘জুলাই চত্বর’নামে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।চত্বরটির দুই দিকে আলাদা সাইনবোর্ডে জুলাই চত্বর ও গোল অংশে জুলাই চত্বর লেখা হয়েছে।
উদ্বোধনের শুরুতে শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. আশিকুর রহমান জানান, ময়মনসিংহে জুলাই আন্দোলনের শুরু হয়েছিল এ টাউন হল থেকে।
এ স্থানটিতে জুলাই আন্দোলনের অনেক স্মৃতি জড়িত। তাই আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ স্থানটিকে জুলাই চত্বর ঘোষণা করা হয়েছে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ নগরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শত শত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই আন্দোলনকারী ও এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, ঐতিহাসিক টাউন হল চত্বরকে জুলাই চত্বর ঘোষণা করার বিষয়টি আরও পরিকল্পিতভাবে করা প্রয়োজন ছিল। এখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ম্যুরাল আছে। নগরের পুরাতন ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহীদ সাগর চত্বরে আরও কাজ করা যেত। জুলাই স্পিরিট ভূলুণ্ঠিত হয় বা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এমন কিছু করা উচিত নয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, টাউন হল মোড়ের স্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু হয়েছিল। ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এটি জুলাই চত্বর ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অবকাঠামোগত কোনো পরিবর্তন করা হবে না। আর জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের জন্য ঢাকা বাইপাস এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ-ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে সার্কিট হাউস মাঠের কাছে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে টাউন হল স্থাপন করা হয়। ময়মনসিংহ–টাঙ্গাইল সড়কের মোড় থেকে জয়নুল উদ্যানের ব্যাটবল চত্বর ও সার্কিট হাউসে প্রবেশের সড়কে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ম্যুরাল–সংবলিত একটি গোল চত্বর আছে। মোড়টি রাজনৈতিক সভা–সমাবেশের জন্য বেশ আলোচিত। এই এলাকা ঘিরে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আকতার উল আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন,শহীদ রোদোয়ান হাসান সাগরের বাবা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ অনেকে।