রাজনৈতিক দলের প্রত্যেক নেতা কর্মীদের রাজপথের মিছিলে শোনা যায় ,এমন খারাপ ভাষায়, বাজে ,অশালীন ও হিংসাত্মক শ্লোগান । যা কেবল দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে না,মানুষের মধ্যে বিভাজন ও বিদ্বেষ ছড়ায় । নেতাকর্মীরা প্রায়ই নিজেদের বক্তব্য নিজেরা না বুঝে শ্লোগান দেয় ’ধর ধর ধইরা ধইরা জবাই কর,ও বাঙ্লা ছাড়,। এমন ন্যাকারজনক শ্লোগান পরিহার করা উচিত সকলের । এইসব অহেতুক বাজে শ্লোগান পরিহার বা বাদ দিয়ে আসুন সকলেই আওয়াজ তুলি আমরা সবাই এক, আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ বা বিভাজন নাই । আমরা সবাই তারুণ্যের উৎসবের শ্লোগান~ দেই , এসো ভালো মানুষ হই, দেশ বদলাই ,পৃথিবী বদলাই । এই দেশ তোমার আমার সকলের এই বোধশক্তিটুকুও কি তাদের চেতনার ভিতর নাই । এরাতোও দেশের মানুষ এমন চিন্তা ধাকা দরকার ,তারা পশু নয়তো । আরো অবাক করার মত বিষয় হল, রাজপথে আমার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকমীরা বোকার মত না বুঝে খুনের উদ্দেশ্য নেশায় আক্রমণাত্মক শ্লোগান দেয় , একটা একটা ধর ধইরা ধইরা জবাই কর ও বাঙ্গলা ছাড় । এমন নিকৃষ্ট পশুর মত শ্লোগান কোন সভ্য দেশে আছে বলে আমার বোধ্যগম নয় । কিন্ত বিশ্ব যখন মানবতা ও সভ্যতায় বা মানবাধিকারে এগুচ্ছে মানুষ মানুষের জন্য মানুষকে বাচানোর জন্য । তার মধ্যে কিনা আমার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টি ভঙ্গি এমন হচ্ছে ধরে ধরে জবাই করে মানুষ মারো ও বাঙ্গলা ছাড়ো । হায়রে মানুষ এমন শয়তানী আচরন মানুষ হিসেবে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদীর মতই যদি হয় ,যা আমাদের কারো কাম্য নয় । চব্বিশের জুলাই আগষ্টে ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে জীবন বাজি রেখে বিপ্লবী আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার উৎখাত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হয় । অথচ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের নতুন করে শ্লোগান আসা উচিত ছিল প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এসো দেশ বদলাই,,বাংলাদেশ বদলাই ,পৃথিবী বদলাই । আসুন আমরা সবাই মিলে ছাত্র জনতা তরুন সমাজ এক হয়ে নতুন করে বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলি সেই সাথে আওয়াজ তুলি সকল নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ সহ সুখি সুন্দর শান্তির বাংলাদেশ গঠন করব। যেখানে থাকবেনা কোন হানাহানি, মারামারি ,খুন খারাবি ,অসভ্য আচরন,অশান্তি আরোও থাকবেনা সুদ ঘুষ দূনীতি অসৎ নেতৃত্ব । আসুন আমরা সকলে মিলে মিশে কাজ করি, হারি জিতি নাহি লাজ। বাংলাদেশটাকে ঐবদ্ধভাবে গড়ে তুলি এক সোনার বাংলাদেশ । যেখানে থাকবে না কোন অনৈতিক কাজ, ধর্ষন, ভেদাভেদ ,হানাহানি, মারামারি অনৈক্য ,অরাজগতা অনাজার । জনগনের ভিতর থাকবে শুধু শান্তি আর ভালবাসা, তবেই দেশ হবে উন্নত। জনগন পাবে মুক্তির সন্ধান । বহি বিশ্বে বাংলাদেশ ও আমাদের মান উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিগণিত হবে।এটাই সকলের প্রত্যাশা রাজনৈতিক নেতাকমীদের কাছে। প্রত্যেক নাগরিক আশা করে কল্যাণময় রাস্ট্র গঠন হোক । সকলে একসাথে একে অপরে সাথে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে এক সাথে শান্তিতে বসবাস করি এটাই হোক জুলাই বিপ্লবের শোগ্লান । তবেই সার্থক হবে জুলাই আগষ্ট আন্দোলনের মারা যাওয়া শহীদের ও আহত বিপ্লবী যোদ্ধাদের মানুষ স্মরণ রাখবে তাদের কখনও ভূলে যাবে না।