ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ-কৃষকলীগের চার নেতাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. আলমগীর মোল্যা (৫২)। তিনি বেজিডাঙ্গা গ্রামের মৃত. ইমাম মোল্যার ছেলে। তাকে শনিবার দিবাগত রাতে ইউনিয়ন কৃষকলীগের অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া একই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাশের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রাম্য চিকিৎসক বিধান চন্দ্র শাখারী (৫২), রূপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. মানোয়ার হোসেন মানু (৪২) ও একই উপজেলার সাতৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আমির হোসেন (৪৪)। তাদেরকে নিজ এলাকা থেকে শনিবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (২০ জুলাই) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গার থানার ওসি মো. শাহ্ জালাল আলম জানান, শনিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন সময় একটি রাজনৈতিক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা সকলেই একটি বিস্ফোরক মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি। গত ১৫ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ এলাকার বিএনপি কর্মী লাভলু সর্দার নামে এক দিনমজুর মামলাটি দায়ের করেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার নিজ এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মীর নামে পেনাল কোড ১৪৩/ ১৪৪/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪২৭/৫০৬ (২)/৩৪/১১৪ তৎসহ ১৯০৮ সালের ধারায় একটি বিস্ফোরক মামলা করেন বিএনপি কর্মী দিনমজুর লাভলু সর্দার। মামলায় আলফাডাঙ্গা ছাড়াও পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়। এ মামলার অনেক আসামীকে এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকেই জামিনও পেয়েছেন আবার অনেকেই জেলহাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় একটি রাজনৈতিক মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে আলফাডাঙ্গায় পাঠানো হয়েছে।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. শাহ্ জালাল আলম বলেন, আলফাডাঙ্গা থানার একটি বিস্ফোরক মামলার অজ্ঞাতনামা চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা আওয়ামী লীগ ও কৃষকলীগের পদধারী ব্যক্তি।