কৃষিতে স্বনির্ভর দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। এখানে ধান, গম, ভুট্টা সহ সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয় পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অবৈধ মজুতদারদের কারনে মাঝে মাঝেই এখানে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়।সম্প্রতি অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনা সহ ধান,চালের দাম বৃদ্ধি রোধকল্পে অবৈধ মজুতদার, লাইসেন্স বিহীন চালকল ও অসাধু অটো রাইস মিল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ।
গত দু দিনে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য বিভাগের উদ্যোগে সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে অবৈধ মজুতবিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার কাসেম হাস্কিং মিলে সরকার অনুমোদিত মজুতের চেয়ে প্রায় ১২০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে নির্বাহী হাকিম মো. আনোয়ার হোসাইন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মিল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং তা আদায় করা হয় ও অতিরিক্ত ধান ১৩ দিনের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময় লাইসেন্সবিহীন ধানের পাইকারি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের গুদামেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৪০ মেট্রিক টন ধানের অবৈধ মজুত পাওয়া যায়। এই ব্যবসায়ীকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। এছাড়াও সদর উপজেলার খোচাবাড়ি এলাকার দুইভাই অটো রাইস মিলে অনুমোদিত সময়ের চেয়ে অধিক সময় ধরে ধান মজুত করায় মোবাইল কোর্টের আওতায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন, যা ঘটনাস্থলে আদায় করা হয়।অভিযানে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাছান জানান, ধান চালের দাম বৃদ্ধি রোধকল্পে এবং অবৈধ চালকল মালিকদের সহ অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নষ্ট করতে ঠাকুরগাঁও খাদ্য বিভাগ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আমাদের এ অভিযান চলমান রয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।