ফেনীর সোনাগাজীতে পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে গ্রামবাসির উপর হামলা করেছে জেলা কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন ও তার সহযোগীরা। ২৪ জুলাই, বৃহষ্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পৌরসভার বাখরিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে দেশীয় অ-স্ত্রসহ আটক করেছে যৌথবাহিনী।
জানাগেছে, সোনাগাজী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বাখরিয়া গ্রামে ড্রেন নির্মানের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন পৌর প্রশাসক নাজিয়া হোসেন।
অভিযানে পৌর বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন এর বাড়ীর সিমানা প্রাচীর ভাঙার সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এতে চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, বাখরিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ দুলাল, নোমান হোসেন , আবিদুর রহমান ও লিটন।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর (সেনা-পুলিশ) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করেন। আটককৃতরা হলেন, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন (৫০), তার ছেলে নিহাল আহমেদ অমি (২০) এবং তার সহযোগী আব্দুস শুক্কুর (৫০), সোহেল কামাল (২৮) ও শাহাদাত হোসেন মিশন (১৭)।
আহত আবদুল আজিজ দুলাল বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মাইনউদ্দিনের পরিবারের দাবি, এখানে ড্রেন নির্মানের বিরুদ্ধে ২৩ জুলাই আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। সেটা উপেক্ষা করে যৌথবাহিনী আর গ্রামের লোকদের নিয়ে প্রশাসন উচ্ছেদ করেছে।
সোনাগাজী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, মাঈন উদ্দিন পৌর বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক পদে রাখা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তার পারিবারিক, জেলা বিএনপি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করবে।
এ ব্যপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, মাইন উদ্দিন বর্তমানে কোন পদে নেই। তিনি যদি কোন ফৌজদারি অপরাধ করেন, সেটা দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন বলেন, ড্রেনের কাজ চলাকালে গ্রামবাসির ওপর হামলার ঘটেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে দেশীয় তৈরি চাপাতি, দামা ও চুরিসহ আটক করা হয়েছে।