দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় অভিনব প্র/তা/রণার মাধ্যমে ১৫ টন চাল আত্মসাৎ করার ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানির পরপরই তিন দিনের টানা অ/ভি/যানে চ/ক্রে/র মূল হোতাসহ দুই সদস্যকে গ্রে/প্তার করেছে বোচাগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ দল। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আ/ত্ম/সাৎ হওয়া চালের মধ্যে ১১ টন ৪৫০ কেজি, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩২ টাকা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,
১৩ জুলাই সেতাবগঞ্জের ‘জহুরা অটো রাইস মিল’-এর মালিকের মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তি নিজেকে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ এলাকার ‘মেসার্স পরশমনি’ প্রতিষ্ঠানের মালিক মোশারফ হোসেন পরিচয় দিয়ে চাল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কথাবার্তার ধরণ ও পূর্বপরিচয়ের দাবি শুনে মিল কর্তৃপক্ষ ঢাকা অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে চাল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
১৪ জুলাই রাতে ৩০০ বস্তা চাল (প্রায় ১৫ টন), বাজারমূল্য ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৫০ টাকা—একটি ট্রাকে করে নারায়ণগঞ্জে পাঠানো হয়।
১৭ জুলাই মিল কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জের
মের্সাস পরশমনি, প্রোপাইটার মোশারফ হোসেনের কাছে টাকা চাইতে গেলে চাল গ্রহণ করার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে তারা। প্র/তা/রণা বুঝতে পেরে মিল কর্তৃপক্ষ বোচাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জাহিদ সরকারের নেতৃত্বে এবং জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে তদন্তে নামে বোচাগঞ্জ থানা ও ডিবি পুলিশের একটি যৌথ দল।
২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চক্রের মূল হোতা লিটন ইসলাম (৫৫)-কে ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে,
২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে তার সহযোগী রায়হান (৩০)-কে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার কলেজপাড়া এলাকা থেকে গ্রে/প্তার করা হয়।লিটন ইসলাম (৫৫) পটুয়াখালী জেলা সদরের টেংরাখালি গ্রামের মৃত আজাহারুল ইসলামের ছেলে।রায়হান ইসলাম (৩০) পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার কলেজ পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
তাদের দেওয়া তথ্যে পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে ৩৭ বস্তা ও ফরিদপুর থেকে বাকি চাল উ;দ্ধার করা হয়, যার ওজন ১১ টন ৪৫০ কেজি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ২ টায় বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জাহিদ সরকার দৈনিক আমার দেশকে বলেন, চক্রটি রাজধানীতে প্রবেশ না করার অজুহাতে শহরতলীতে একটি নির্জন স্থানে চালবোঝাই কাভার্ডভ্যান থামিয়ে দেয়। পরে অন্য একটি ট্রাকে চাল খালাস করে নিয়ে আত্মসাৎ করে।
এটি একটি সং/ঘবদ্ধ প্র/তারক চ/ক্র। মোবাইল ফোনের বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে দ্রুত অভিযান চালিয়ে মূল হোতা ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার এবং অধিকাংশ চাল উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে
এ ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্বে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, “পুলিশ সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে চক্রটি আরও বড় ধরনের প্রতারণা করতে পারত।”