বিএনপিপন্থী শিক্ষকের পদত্যাগ” শিরোনামে ৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর” হিসেবে অভিহিত করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, উক্ত সংবাদে যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্তিকর, অসত্য এবং প্রকৃত ঘটনার সম্পূর্ণ অপপ্রচার। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, প্রশাসনিক ধারা ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টির অপচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিবাদপত্রে আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমান তার ক্যান্সার এর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ মে ২০২৫ ইং তারিখে ছুটিতে গিয়ে থাইল্যান্ডে গমন করেন। তার অনুপস্থিতিতে তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত ০৮.০৫.২০২৫ইং তারিখের স্বারক নং- (পবিপ্রবি প্রশা-৩৮৯/ব ১৯৯/০৭/৯৭৩), এর অফিস আদেশে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও ইকোনমিক্স ও সোশিয়লজি বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে অস্থায়ীভাবে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর পদটি শূন্য হলে সিনিয়র প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার-কে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে ২ বছরের জন্য উক্ত দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার একজন সৎ, আদর্শবান, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার মার্জিত আচরণ, নম্রতা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মহলে জনপ্রিয়। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ গত দেড় দশকের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে নির্যাতনের শিকার এবং সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন।
প্রতিবাদপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব সাধারণত সিনিয়র প্রফেসরগনই পালন করে থাকেন। অথচ প্রতিবাদিত সংবাদে উল্লেখিত ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি এ্যাসোসিয়েট হয়েছেন । এবং তার প্রফেসর পদে উন্নিত হবার জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন। এমন প্রেক্ষাপটে তাকে দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, বরং একান্তই নিয়মতান্ত্রিক।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক সমাজ, প্রশাসনিক কাঠামো এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।