জয়পুরহাট জেলা সদরের শগুনা গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো ওমর ফারুকের নামে অবৈধ টাইম স্কেল গ্রহন, বিধি বহির্ভূত শ্রান্তি ভাতা গ্রহন, বদলী ও তদবির বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতের টাকা যথাযথ ব্যাবহার না করে অর্থ আত্মসাৎ, রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনে জড়িত থাকা সহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলার শিক্ষকবৃন্দের পক্ষে প্রতিকার ও ব্যবস্থা চেয়ে মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করা হয়েছে বলে জানা যায়। অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলেন, প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বিগত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে সাধারণ শিক্ষকদের জিম্মি করে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছেন। অবৈধ টাইম স্কেল প্রসঙ্গে দেখা যায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: নুর ইসলাম স্বাক্ষরীত ১০/১১/২০১৪ তারিখে এক অফিস আদেশে মো: ওমর ফারুক, প্রধান শিক্ষকে (পাইকর স:প্রা:বি) ১ম টাইম স্কেল প্রদান প্রদান করা হয় যা ০২/০৪/২০১৪ থেকে কর্যকর হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী শিক্ষকরা বলেন ০৯/০৫/১৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদকে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে ঘোষনা করা হয়। পরে টাইম স্কেল পাওয়া নিয়ে জটিলতা এড়াতে তরিঘরি করে নিয়ম না মেনে তদবিরের মাধ্যমে টাইম স্কেল নেন। বদলি ও তদবির বাণিজ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিলে কয়েক জন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সিনিয়ার শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমিক ভাবে বদলি দেয়া হয়। তাদের বেলায় কিছুটা ব্যহত হয়। সে সময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ১০,০০০ টাকায় বদলি করিয়ে দিতে চায়। এক প্রকার বাধ্য হয়ে তাকে দাবীকৃত টাকা দিয়ে বদলি নিতে হয়।
ইতি পূর্বে ২০১৫ সালে দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও দুই জন অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে যান সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা। তখন অফিস সহকারীদের সাথে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের নামে দুর্নীতি ও তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। তিনি টাইম স্কেল, ইনক্রিমেন্ট, শ্রান্তি বিনোদন, ইবি ক্রম, জি,পি,এফ লোন ইত্যাদি প্রপ্তিতে শিক্ষকদের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এবং পরে টাকা ঘুস নিতে এই কাজ গুলোর তদবির করত বলে অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে ০৪ এপ্রিল ২০১৫ সালে আমাদের অর্থনীতি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও ফ্যাসিবাদী খুটির জোরে বহাল তবিয়তে নিজের কাযক্রম চালিয়ে যান।
অভিযোগের বিযয়ে প্রধান শিক্ষক মো: ওমর ফারুকের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেস্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।