সারা দেশে চলমান শিক্ষক কর্মবিরতিতে থমকে গেছে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষগুলো ফাঁকা, ক্যাম্পাসে নিস্তব্ধতা—কোথাও শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ফলে পরীক্ষার প্রস্তুতি, ক্লাস কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কাজকর্ম সবই স্থবির হয়ে পড়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, তারা ন্যায্য দাবির আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না যতক্ষণ না সরকার তাদের দাবি মেনে নিচ্ছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন কাঠামো ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত বৈষম্যের শিকার তারা। এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে দাবি তাদের।
অন্যদিকে, এই কর্মবিরতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বড় ধরনের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেক অভিভাবক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, বছরের শেষ ভাগে এসে এভাবে ক্লাস বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোই এখন সময়ের দাবি।