একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যা করতে না পারেন তাই করতে পারেন সেই একই প্রতিষ্ঠানের নিম্ন পদস্থ কর্মকর্তা (দারোয়ান)গত একুশে ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ভোগান্তির আরেক নাম কোভিড ১৯ vaccine এর প্রথম পর্বের পর এই একই শিরোনামে দ্বিতীর পর্বেরও সমাপ্ত হয়। আজ আলোচনা করব এ পর্বের চূড়ান্ত বা সর্বশেষ পর্ব নিয়ে । যারা পরপর তিনটি পর্ব ই দেখছেন তাদেরকে জানাই আন্তরিকভাবে অভিনন্দন এবং যারা আগের দুটি পর্ব মিস করেছেন তাদেরকে দেখে আসার জন্য অনুরোধ করছি l
দ্বিতীয় পর্বের পরে —
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভিন্ন ডেস্ক এ বসা একজন সিনিয়র কর্মকর্তার দাবি আমাদের এখানে কোন সিনিয়র জুনিয়র নেই। আমরা সবাই এক।প্রচলিত একটি কথা আছে চেয়ারম্যানের থেকে চেয়ারম্যানের চামচার (সহকারীর) ক্ষমতা বেশি। এ কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য আমরা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাহিরের গেটে এসে একজন দারোয়ানের সাথে কথা বলি এবং আশ্চর্যজনকভাবে তিনি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন মামা কাজ হবে আপনি চিন্তা কইরেন না কিন্তু মাল পানি ছাড়া লাগবে বুঝেন তো ।আজকাল মাল পানি ছাড়া কোন কাজ হয় না।
বললাম ওনারা ( স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা )বললেন যে একই দিনে নাকি দুইটা তথ্য সার্ভারে জমা করা যাবে না। প্রতিউত্তরে তিনি হেসে দিয়ে বললেন আপনি দেখি এখনো সেই আমলেই রয়ে গিয়েছেন ।এখন টাকা হলে সবই করা যায় এই কথা বলে তিনি একজনকে ফোন দিয়ে আসতে বললেন এবং সেই লোকটি আসলেন।
জনৈক ব্যক্তি : কাজ হবে কিন্তু এখন না আজ রাতে ।জরুরী কাজ তো টাকা কিন্তু একটু বেশিই লাগবে।
দৈনিক দেশ বুলেটিনের প্রতিনিধি :তা কত লাগতে পারে?
জনৈক ব্যক্তি :এই ধরেন চার পাচ হাজার। চার-পাঁচ হাজার?
দৈনিক দেশ বুলেটিনের প্রতিনিধি :এত টাকা তো দিতে পারব না ভাই গরিব মানুষ।
জনৈক ব্যক্তি :আরে এটা তো অনুমানে বললাম। এখন দেখি কত কমে করানো যায়। আপনি বুঝবেন না ভাই এই টাকাটা অনেক জায়গায় দেওয়ার পর আমরা হয়তো দুই তিনশ পাব। কাজ করতে চাইলে নাম্বার নিয়ে যান আজকেই জানাবেন।
দৈনিক দেশ বুলেটিনের প্রতিনিধি প্রতিনিধি : call দিয়ে ভাই পাঁচশত টাকার বেশি দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই।
জনৈক ব্যক্তি : ৪০০০ এর কম হলে সম্ভব না।
সামান্য একটু নিবন্ধনের জন্যই যদি এত টাকা ব্যয় করতে হয় । যেটা করে দিতে তারা জনগণের কাছে বাধ্য। কারণ তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এ কারণেই ।এখন এটাই যদি হয় একটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মত কোন প্রতিষ্ঠানের আসল চিত্র তাহলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরই বা কি অবস্থা?