মুরাদনগর উপজেলা কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ। ৩৪০.৯৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই উপজেলাটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।ইতিহাস ও ঐতিহ্য: মুরাদনগরের নামকরণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায় না।জনশ্রুতি অনুসারে, মোগল সম্রাট শাহজাহানের কনিষ্ঠ পুত্র মুরাদ কোন এক সময়ে এ এলাকায় এসেছিলেন।অন্য মতে, মুরাদনগর নামটি এসেছে মির মুরাদ আলীর নাম অনুসারে, যিনি ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের একজন রেভিনিউ কালেক্টর।
এছাড়া অনেকের মতে, মুরাদনগর মূলত: মির মুরাদ আলীর নাম অনুসারে হয়, যিনি ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের একজন রেভিনিউ।১৮৫৮ সালে মুরাদনগর থানা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।ব্রিটিশ আমলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল।দর্শনীয় স্থান: মুরাদনগর শহীদ মিনার: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত।মুরাদনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজি: ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন।মুরাদনগর রাজবাড়ী: মোগল আমলের ঐতিহাসিক প্রাসাদ।কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিসৌধ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে নির্মিত।চুনারুঘাট: মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত মনোরম স্থান।শ্রীকাইল: ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান।ধামগর: মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত।
অর্থনীতি: মুরাদনগরের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর।ধান, পাট, গম, শাকসবজি, এবং ফলমূল এখানকার প্রধান ফসল।এছাড়াও, মৎস্য, পশুপালন, এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।শিক্ষা: মুরাদনগরে শিক্ষার হার ৫৮%।এখানে অনেক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মুরাদনগর সরকারি কলেজ, মুরাদনগর মহিলা কলেজ, এবং মুরাদনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।সংস্কৃতি: মুরাদনগর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।এখানকার লোকজন বিভিন্ন ধরনের লোকগান, লোকনৃত্য, এবং পাঁচালি গায়।নববর্ষ, ঈদ, এবং পূজা এখানকার প্রধান উৎসব।