চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারে আগুনে পুড়ে ৮টি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কোটির অধিক। দোকানগুলির মধ্যে ৫টি মুদিখানা, ২টি মসলা ও ১টি কসমেটিকস। সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের মতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৮ লাখ টাকা এবং উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মামামাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত পৌনে ১২টার দিকে শিবগঞ্জ সাংস্কৃতিক পরিষদের সামনে প্রথমে মোহাম্মদ আলীর মুদির দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যে আশপাশের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৫টি মুদি, ২টি মসলা ও ১টি কসমেটিক দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা। মুদিখানার দোকানদার নওশাদ আলির দাবী তারা তিন ভাইয়ের শুধু তিনটি মুদিখানার দোকানেই ০১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আরো ৫টি দোকানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলতে পারবো না।
প্রাথমিক ধারণা- বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন ও শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অন্যি দকে গত বুধবার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নে সাহাপাড়া বৈরাগীপাড়ায় রান্নাঘরের চুড়া থেকে আগুনের সূত্রপাত থেকে ওয়াজেদ আলির ছেলে আব্দুর রশিদের বাড়ির তিনটি ঘর দুটি ছাগল ও একটি গরু ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। তাকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার কাদেরী কিবরিয়া জানান, আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। এ সময় প্রায় ১৮ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে এবং প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছি। আগুনের সুত্রপাত সম্পর্কে কিছু সঠিক কিছু বলতে পারবো না। তবে – বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে গতকাল সাহাপাড়া পৌছার আগে জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রনের আনায় ফিরে এসেছি।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ বাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকা। এঘটনায় প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরে অনুমোদিত হয়ে আসলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করতে পারবো। অন্যদিকে মনাকষার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনো কিছু জানিনা। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।