1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

অটোস্ট্যান্ডে ইভটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা

শামীম আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি, নেত্রকোনা।
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে
ইভটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নারী শিক্ষার প্রসারে গড়ে ওঠা একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়টির দুই পাশে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থাকার কারণে বখাটেদের হাতে প্রতিনিয়তই ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন ছাত্রীরা। তারা মনে নানা শঙ্কা নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। কিন্তু প্রতিকারমূলক কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নীরবে নিবৃত্তেই চলছে ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা।

জানা যায়, নারী শিক্ষার প্রসারে ১৯৮৩ সালে নেত্রকোনা কেন্দুয়া সড়কের পাশে উপজেলা সদরে স্থাপিত হয় সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে পাঠদানের কার্যক্রম ভালো থাকায় দিন দিনই বিদ্যালয়টিতে ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীর সংখ্যা এক হাজার ৩৪৭ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১৮ জন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বাঙ্গালী বলেন, নারী শিক্ষার প্রসারে বিদ্যালয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে বিদ্যালয়টিতে একাডেমিক নতুন কোনো ভবন হয়নি। তা ছাড়া শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব না থাকায় ছাত্রীরা এ ক্ষেত্রে নিজস্ব উদ্যোগে পাঠ গ্রহণের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হচ্ছেন। অথচ, উপজেলার প্রায় সব বিদ্যালয়েই শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে। কিন্তু সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সিফটিং ব্যবস্থা চালু না থাকায় ছাত্রীদের গাদাগাদি করে পাঠ গ্রহণ করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের গেটের সামনে এবং ডানে বামে দুই পাশে সিএনজি অটোস্ট্যান্ড রয়েছে। এই সিএনজি অটো স্ট্যান্ডের যানবাহনে বসে বখাটে যুবকরা অনেক সময় ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিডিও ধারণ করে থাকে। তা ছাড়া নানা কায়দায় ছাত্রীদের ইভটিজিং করে থাকে।

সোমবার(২০ নভেম্বর) উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বাঙালি এসব সমস্যার কথা তুলে ধরে সিএনজি অটোস্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে ছাত্রীদের নিরাপদে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি তোলেন। বখাটেদের কিছু তারা নিজেরদের যাত্রী বলে দাবি করে। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রীরা বলেন, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করাই কঠিন হয়ে পরেছে। তারাও বিদ্যালয়ে নিরাপদে আসা যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোস্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটো চালকের কাছে যাত্রীবেশী বখাটেদের ইভটিজিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সামনে এরকম কেউ করতে পারে না। তা ছাড়া যদি স্ট্যান্ড অন্য জায়গায় দেওয়া হয় আমরা সেখানেই চলে যাব।

কেন্দুয়া থানার ওসি মোঃএনামুল হক বলেন, সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য সিএনজি অটো স্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলের দুই পাশে কোনো সিএনজি অটোরিকশা দাঁড়াতে পারবে না এবং কোনো যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না।

উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, ছাত্রীদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে হবে। ছাত্রীদের নিরাপদে চলাচলের ক্ষেত্রে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সমস্যা সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com