তুমি সেই মহারাজ
খেতে দিলে না এক মুঠো ভাত।
তুমি সেই অধিশ্বর
শান্তি দিলে না তুমি কোন জাত?
তুমি সেই অধিকর্তা
আশা ভেঙ্গো না তুমি একদণ্ড।
তুমি সেই বিধাতার
সৃষ্টি দিলে না শক্তি মারদণ্ড।
তুমি সেই বীরাঙ্গনা
জন্ম দিলে না বীর পুরুষের?
তুমি সেই জন্মদাতা
নারী দিলে না বীরাঙ্গনা তার।
তুমি সেই বিক্রমের
লজ্জা দিলে না শত্রু হানাদার।
তুমি সেই রাজ্যপতি
দেশ দিলে না অজাত শত্রুর।
তুমি সেই মানবতা
তুমি চিনো না মানবতা বোধ,
তুমি সেই জন্মদাত্রী
শান্তি দিলে না কেন থাকে ক্রোধ।
তুমি সেই আদিকাল
সৃষ্টি দিলে না প্রাণে বেঁচে থাকা।
তুমি সেই সৃষ্টিকর্তা
বাঁচা দিলে না সর্বোত্তম দেখা।
তুমি সেই ত্রাণকর্তা
ত্রাণ দিলে না সমগ্র সত্ত্বার।
তুমি সেই ভাগ্যদাতা
ভাগ্য দিলে না ভাগ্য বিধাতার।
তুমি সেই কাপুরুষ
সত্য দিলে না আদর সোহাগ।
তুমি সেই দৈত্যরাজ
চিন্তা দিলে না নারীর সম্ভোগ।
তুমি সেই ক্ষীতিমান
ক্ষেত দিলে না ফসল ফলায়।
তুমি সেই সন্তোষিত
তুষ্ট দিলে না জুড়ায় জ্বালায়।
তুমি সেই মৃত্যুঞ্জয়
মৃত্যু দিলে না অমরত্ব লাভ।
তুমি সেই মৃত্যুকাল
মৃত্যু দিলে না তোমার স্বভাব।
তুমি সেই মুক্তিদাতা
মুক্তি দিলে না তার স্বাধীনতা!
তুমি সেই বিবেচনা
বিশ্ব দিলে না বিশ্বাস যোগ্যতা।
তুমি সেই শান্তিদাতা
শান্তি দিলে না অশান্ত জগতে।
তুমি সেই মুক্তি সেনা
সভ্য দিলে না শিক্ষায় শিক্ষিতে।
তুমি সেই শিক্ষাগুরু
শিক্ষা দিলে না অসভ্য জাতিকে।
তুমি সেই জ্ঞানদাতা
জ্ঞান দিলে না ভদ্র সমাজকে।
তুমি সেই অজ্ঞানতা
অজ্ঞ দিলে না আমার জীবনে।
তুমি সেই অন্ধকার
আলো দিলে না সত্যের সন্ধানে।