কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের কাগজীগ্রাম উসমানীয়া মাদরাসায় পবিত্র ঈদুল আযহা কে সামরে রেখে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষে ,উসমানীয়া ছাত্র কাফেলার আয়োজনে ,সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মুহাম্মদ কেফায়েতুল্লাহ-এর সঞ্চালনায় ও কাফেলার জিম্মাদার মুফতী আব্দুর রহমান (দা.বা.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও পরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অত্র এষ্টেট-এর সম্মানিত সভাপতি জনাব কাছম আলী সাহেব, প্রিন্সিপাল মাও. তাবারক হেসাইন (দা.বা.) ও শিক্ষা সচিব মুফতী সুফিয়ান তাসদিক (দা.বা.)
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অত্র মাদরাসার মুদাররিস, হাফেজ মাও. আবু রায়হান (দা.বা.) মাও. ক্বারী আজিজুল হক (দা.বা.) ও মাষ্টার শামসুদ্দিন (তুকী) প্রমুখ। বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি কাগজীগ্রাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ১৩-৬-২৪ইং রোজ- বৃহঃবার বিকাল ২.০০ টার সময় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাও. তাবারক হোসাইন বলেন. অবশ্যই সকল শিক্ষার্থী নম্র ও ভদ্র হতে হবে। রাস্তা ঘাটে মুরুব্বীদের সালাম দিতে হবে। এবং আগে আগে সালাম দেওয়ার অভ্যাস করবে। সালামের প্রচার-প্রসার করবে। অবশ্যই বাড়িতে বাবা মার সাথে সৎ আচারণ করবে।
মাদরাসার শিক্ষাসচিব মুফতী সুফিয়ান তাসদিক বলেন, আমাদের এই শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানগুলোর প্রধান লক্ষ হলো, প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের সর্বদিকে অভিজ্ঞ ও যোগ্য হিসাবে গড়ে তোলা। ছাত্রদের পড়া-লেখা শেষে দ্বীন প্রচার-প্রসার ও তাদের ক্যরিয়ার জীবনে এই প্রশিক্ষনমূলক অনুষ্ঠানগুলো অনেক ভুমিকা রাখবে। আমাদের জীবনেও রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, বক্তৃতা বা বয়ান হলো যাদুর মতো। যাদু যেমন ভাবে মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে তোলে, ঠিক তেমনি ভাবে একজন বক্তার সাজানো গোছানো বক্তব্যও মানুষকে নিজের দিকে আকর্ষিত করে তোলে। তাই আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গোছিয়ে বক্তব্যে পারদর্শী হয়ে উঠোক। পাশাপাশি লেখা-লেখি বা সাহিত্যদের জগতেও আমাদের পদাচারণ রয়েছে নিরলসতার সাথে। সুন্দর ও গোছানো লেখা একজন পাঠকের মন মুগ্ধ করে তোলে খুব সহজেই। তাই আমরা আমাদের ছাত্রদেরকে ভালো সাহিত্যিক হিসাবে গড়ে তোলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আর এই সবের প্রধান লক্ষ, একমাত্র লিল্লাহীয়াত। তারা যেনো খুব সহজেই মানুষের কাছে আল্লাহর বাণী পৌছিয়ে দিতে পারে।
অবশেষে, বিকাল ৫.০০টার সময় বিজীয়দের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ শেষে শিক্ষাসচিব মুফতী সুফিয়ান তাসদিক ঈদুল আযহার ছুটি প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।