বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই যুগে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের জন্য প্রয়োজন সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এখন শুধু একটি বিষয় নয়, বরং এটি একটি দক্ষতা, যা ব্যক্তি ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের এলাকার বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত হয় ১৫ দিনব্যাপী একটি আইসিটি ট্রেনিং কর্মসূচি।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণকারীদের কম্পিউটার ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, অফিস অ্যাপ্লিকেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে হাতে-কলমে দক্ষ করে তোলা। প্রতিদিন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ক্লাস পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকবৃন্দ। অংশগ্রহণকারীরা যথেষ্ট আগ্রহ ও উদ্যম নিয়ে পাঠগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজের মাধ্যমে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করেন।
১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শেষে আয়োজন করা হয় এক অনাড়ম্বর সমাপনী অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমাদের প্রিয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয় জনাব মোঃ শাহ আলম, মান্দা,নওগাঁ বিশেষ অতিথি চেয়ারম্যান জনাব শামস-ই-তাবরিজ-সহকারী প্রোগ্রামার ইউ,আই,টি,আর,সি,ই, মান্দা,নওগাঁ ট্রেনার স্যার যারা অক্লান্ত পরিশ্রমে শিক্ষা প্রদান করার চেষ্টা করেছেন শিক্ষক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম,মৈনম উচ্চ বিদ্যালয়,জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান,সহকারী শিক্ষক (গনিত),মৈনম সাহাপুর ডি,এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,জনাব দিলীপ কুমার,প্রধান শিক্ষক-কাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,জনাব দিপক,সহকারী শিক্ষক-গোটগাড়ী শহীদ মামুন স্কুল ও কলেজ এ ছাড়াও প্রশিক্ষনার্থীর সেবা করেছেন তাদের আসলেই ভুলার নয় তারা হলেন জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম ও জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ তাদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা ভালো ফলাফল করেছেন তাদের মধ্যে ৮ম ব্যচের প্রথম স্থান অধিকারী জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান,ট্রেড ইন্সট্রাক্টর-শ্রীমন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ৯ম ব্যচের প্রথম স্থান অধিকারী জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান-উত্তরা ডিগ্রী কলেজ উভয়ের হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন ইউ,এন,ও মহোদয়।
সমাপনী দিনের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ভাগ করে নেয়, যা উপস্থিত সকলকে অনুপ্রাণিত করে। ইউএনও মহোদয় ও আইসিটি সহপরিচালক তাঁদের বক্তব্যে ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।এই ১৫ দিনব্যাপী আইসিটি প্রশিক্ষণ কেবল জ্ঞান অর্জনের একটি সুযোগই নয়, বরং এটি ছিল প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তরুণ সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।