বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানীতে ভয়াবহ আগুনে অন্তত ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে ডেমাজানী স্কুল মার্কেটে পশ্চিম অংশ এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।অগ্নিকাণ্ডে কয়েক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।পুলিশ ও ডেমাজানী স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে হঠাৎ স্কুল মার্কেট ভেতরে একটি দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া ও আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
মুহূর্তের মধ্যে আগুন মার্কেটের ইলেকট্রনিক সামগ্রী, কম্পিউটার,বেকারি কনফেকশনারী, সেলুন ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ততক্ষণে আগুনে মার্কেটের অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে যায়।এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।ক্ষতিগ্রস্থ বেকারি ও কনফেকশনারি ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানের ২টি ফ্রিজ সহ সকল মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৮/৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
শাজাহানপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও কোন দোকান থেকে প্রথমে আগুন ছড়িয়েছে তা জানা যায়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।এদিকে অগ্নিকাণ্ডে খবর পেয়ে শনিবার সকালে সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শন করেন বগুড়া-০৭ (শাজাহানপুর-গাবতলী) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ মোস্তফা আলম নান্নু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার, থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের সাথে দেখা করে কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের সান্তনা দিয়ে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ জানান। তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসন থেকে দোকান প্রতি ২০ হাজার টাকা এবং উপজেলা পরিষদের থেকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দেন।এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন আমরুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আমরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানাউল হক ছানা, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক মুক্তা সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।