ঈশ্বরদীর ডিগ্রিপাড়া কামালপুর গ্রামে ভাতিজা আনিস মালিথার হাসুয়ার কোপে অবশেষে প্রাণটাই গেল আপন চাচা নুরু মালিথা (৪২)’র। গত শনিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন গত রোববার বিকেলে তার মৃতদেহ দাফনের সময় এলাকায় মানুষের ঢল নামে। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ডিগ্রিপাড়া কামালপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলমাস হোসেন হিটুও ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ ডিগ্রিপাড়া কামালপুর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভাতিজা আনিস মালিথার সঙ্গে প্রথমে এক চাচা ওসমান মালিথার বাগবিতন্ডা থেকে ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আনিস মালিথার পিতা অফা মালিথাকে মারপিট করে তারই তাই ওসমান। বাবাকে মারপিটের প্রতিবাদ জানাতে আনিস তার চাচা ওসমান মালিথাকে শাসায় ও ধাক্কা দেয়। এ খবর শুনে আরেক চাচা নুরু মালিখা তার দুই ছেলে পারভেজ (২২) ও রমজান মালিঙ্গা (১৭) কে নিয়ে ভাতিজা আনিস মালিখার বাড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গেলে সে তার চাচাও দুই চাচাতো ভাইকে হাসুয়ার কোপে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
সেখান থেকে তাদের আহত তিন জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী, পরে পাবনা ও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত শনিবার রাতে মারা যান চাচা নুরু মালিথা। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর গেয়ে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি সামলেছেন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ২৮ মার্চের ঘটনায় আহত নুরু মালিথার পরিবার থেকে আনিস মালিথা ও অফা মালিথাসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়। আসামীরা জামিনে আছেন তবে ওই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হওয়ার কারনে এই মামলার নতুন করে আইনী প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।