এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং। এ অবস্থা চলছে কমলনগর উপজেলায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিলে না, দিন-রাত মিলে ৩-৪ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন।
কমলনগর উপজেলার সর্বত্র লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সব বয়সি মানুষের।কয়েক ঘণ্টাস পর বিদ্যুৎ আসলেও থাকে মাত্র ২০-৩০ মিনিট, যাওয়া-আসার কারণে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জনমনে। কমলনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকসহ পুরো উপজেলার গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টির পর মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে এ অঞ্চলে। তাপপ্রবাহের ফলে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি, এর সঙ্গে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।
উপজেলার সাধারণ মানুষ বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে সারা দেশের মধ্যে কমলনগর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে, যা এখন অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এর প্রভাব ছোট-বড় কলকারখানা ও ব্যবসায়েও পড়তে শুরু করেছে। ব্যাঘাত ঘটছে উৎপাদন কার্যক্রমে। বিলাসবহুল শপিংমল, বিপণী বিতানসহ ছোট-বড় মার্কেটগুলোতে কেনাবেচায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো বিল আদায় করছে। মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ নিচ্ছে, যা একেবারেই অযৌক্তিক। অথচ সেবার মান নেই। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। এতে গ্রাহকরা নানা সমস্যায় পড়ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকের ফ্রিজ, টিভিসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে শুধু বিদ্যুতের উন্নতির কথা শুনেছি। এখন হাসিনার পতনের পর তা বাস্তবে দেখছি। গত ১০-১২ বছরে এভাবে কখনও বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেনি। বিদ্যুৎ কখন যাবে আর কখন আসবে তাও বলা মুশকিল। প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ে জীবন শেষ। দোকানে বসে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না। অসহ্য লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসার অবস্থাও খারাপ।’
এদিকে ফেসবুক সহ নানা স্যোসাল মিডিয়ায়, নিন্দাসহ ক্ষেভ প্রকাশ করছে অনেকে।