বিগত সরকারের আমলে ‘বৈষম্যমূলকভাবে’ বাছাইকৃত প্রার্থীদের তড়িঘড়ি করে নিয়োগের চেষ্টা করেছিল কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌরসভা—এমন অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক বাদপড়া আবেদনকারী। আদালত ইউএনওসহ পাঁচজনকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) করিমগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে রিট করেন তানজিত হোসেন শান্ত নামের এক প্রার্থী। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও ‘রাজনৈতিক ও মেয়রের পছন্দের বাইরে থাকায়’ তার আবেদন বাতিল করা হয়।
আদালতের কাছে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ও নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে, শুনানি শেষে বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন করিমগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি), যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, পৌরসভার সচিব এবং সহকারী প্রকৌশলীকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, পাম্প চালক পদে ২ জন, পাইপলাইন মেকানিক ও অফিস সহায়ক পদে ১ জন করে মোট ৪টি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তৎকালীন পৌর মেয়র। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে কেবল ‘মেয়রের পছন্দের’ প্রার্থীদের রেখে বাকিদের আবেদন বাতিল করা হয়। এতে বঞ্চিত প্রার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনের ডাক দিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেমে যায়।
তবে ১৪ মাস পর পুরনো বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে হঠাৎ আবার তড়িঘড়ি করে মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়। ২৩ মে মৌখিক পরীক্ষার দিন ধার্য করে প্রার্থীদের ইন্টারভিউ কার্ডও ইস্যু করা হয়। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার দৈনিক দেশ বুলেটিন কে বলেন, “আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে আগের প্রক্রিয়াটি চালু করেছি। আগে কী ঘটেছে তা আমাদের জানা নেই। তবে আদালতের নোটিশ পেয়েছি, যথাযথ প্রক্রিয়ায় জবাব দেব।”