1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় জেলা প্রশাসনের নিকট শীতবস্ত্র হস্তান্তর করেছে ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান আশা রাজশাহীতে বিডিআর বিদ্রোহের পুনরায় বিচার ও চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য মানববন্ধন কেশবপুরে অবৈধ রোমান ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান আমতলীতে শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ স্লোগানে বিল যাচ্ছে ৬২ হাজার গ্রাহকের কাছে দুর্গাপুরে হত্যা চেষ্টা ও নাশকতা মামলার আসামিসহ আটক ৮ জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ইসলামপুরে স্মরণসভা ইসলামপুরে যৌথ বাহিনী অভিযানে দেশীয় অস্র ও মাদকসহ আটক ৫ তজুমদ্দিনে ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে “স্মরণসভা” কক্সবাজার জেলায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গনঅঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের জন্য স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় নির্দোষ প্রমাণিত হলেন প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত

কর্মসূচীর টাকা আত্মসাৎ

সাজ্জাদ কবির
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৭ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সরকার  সারাদেশে  দারিদ্র বিমোচন ও সুবিধা বঞ্চিত  সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও বয়স্ক, দরিদ্র ও অসহায় জনগনকে  কিছুটা হলেও সহযোগিতা করার লক্ষে  দেশে চালু করেছে  বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, সহ আরো অনেক অনেক রকমের সরকারী সাহায্য প্যাকেজ।  সেই সূত্র ধরে দুই/তিন বছর আগে থেকে  গ্রামীন অবকাঠামোগত উন্নয়নের মানসে  দৈনিক  ৪০০/= ( চারশত টাকা)  মাত্র বেতনে চালু করেছেন ” কর্মসূচী”  নামে  মাটি কাটার প্রকল্প।
  সব ধরণের প্রকল্পের  কাজগুলো  স্থানীয় ইউনিয়ন পরিযদ দ্বারা পরিচালিত  হয়।  আর এখানে  পরিযদের  চেয়াম্যানদের  ভাগ্যের দুয়ার খুলে  যায়।   মানে জনগনের যা-ই হোক না হোক,   তাদের পৌষমাস  চলে আসে । অন্যান্য  প্রকল্পগুলোতে  তেমন সুবিধা করতে না পারলেও  এই  ” মাটি কাটার ” কর্মসূচী” প্রকল্পে বিশাল অংকের একটা অর্থ  তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
   পরিসংখ্যানে  দেখা  যায়,,  এক ইউনিয়নে গড়ে  নয়টা(৯)  ওয়ার্ড হয় ,  মানে  এক  ওয়ার্ডে  ৮০ জন করে শ্রমিক নেয়া হলে,   (৮০×৯)=৭২০ জন। একজন শ্রমিকের  বেতন দিনে  ৪০০/= ( চার শত টাকা)মাত্র  দেয়া হয় = (৪০০×৭২০)= ২,৮৮,০০০/= দুই লক্ষ অস্টাশি  হাজার টাকা মাত্র)। এখন প্রশ্ন  হচ্ছে,, টাকা চুরি বা আত্মসাৎ  হচ্ছে কোথায়?
  শ্রমিকদের সাথে আলাপ  করে জানা গেছে,  তারা  পুরে ৩০ দিন  কাজ করার পরেও  মাস শেষে তাদের নিকট  থেকে বিভিন্ন অজুহাতে  নগদ  ২/৩ হাজার করে টাকা নিয়ে নেয়া হয় এবং  পুরো মাস  উপস্থিত থেকে কাজ করার পরেওমাস শেষে  দেখা  গেছে গড়ে  ৮/১০ দিনের মত  অনুপস্থিত  দেখানো হয়েছে।  এখন আমরা যদি  একজন শ্রমিকের গড়ে  ১০ দিন অনুপস্থিিতি কাউন্ট করি,  সে  হিসেবে ১০ দিনের বেতন  আসে =(১০×৪০০)= ৪০০০/= ( চার হাজার টাকা মাত্র) , সুতরাং,   ১০ দিনে  ৮০   জন  শ্রমিকের  বেতন আসবে = (৮০×৪০০০)= ৩,২০,০০০/= তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা মাত্র)।  এক ওয়ার্ডে ১০ দিনে টাকা আত্মসাৎ হয়  ( ৩,২০,০০০) ×৯ ওয়ার্ডে  টাকা আত্মসাৎ হয়   = ( ২৮,৮০,০০০) আঠাইশ লক্ষ আশি হাজার টাকা মাত্র। সুতরাং  এক ইউনিয়নে  শ্রমিকদেরকে  গড়ে  ১০ দিন  অনুপস্থিিত  দেখিয়ে,  তাদের  শরীরের ঘাম ঝরানো,  রক্ত বিক্রি করা  (২৮,৮০,০০০/) আাটাইশ লক্ষ আশি হাজার টাকা মাত্র,
কুতুবদিয়ার  ৬  ( ছয়)  ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যাান সাহেবগন  তাদের নিয়োজিত  সুপারভাইজার  বা মাঝির সহায়তায় প্রতিমাসে এই  বিশাল পরিমান অংকের  অর্থ  আত্মসাৎ করে আসছেন।
  ভুক্তভোগি শ্রমিকরা জানিয়েছেন,,  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউনো) স্যার  সহ  প্রসাশনের  অনেক দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও তারা কোন সুফল পান নাই।  সেই সূত্র ধরে,,  আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান  জনাব  আলহাজ্ব  জাহাংগীর  সিকদারের  কাছে  শ্রমিকের  টাকা  আত্মসাৎ ব্যাপারে  জানতে  চাইলে,  তিনি  জানান,  টাকা কিছু  এদিক- সেদিক হয়,  তবে  এতো বেশি টাকা নয়।  তিনি  বলেন,  এ ব্যাপারে  আর বেশি কিছু  বলতে পারবেন  না।  নিরুপায় হয়ে ইউনো স্যারের সাথে  যোগাযোগ  করতে  গেলে, তিনি  কয়েকদফা  ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে  পাশ কাটিয়ে যান।   ভুক্তভোগি  শ্রমিকদের প্রশ্ন—  এখন  তারা  কোথায়, কার  কাছে  যাবেন তাদের  ন্যায্য  পারিশ্রমিক  আদায় করার জন্য। শ্রমিকদের  মাঝে  একজন  বলেন,,  তারা  খুব শীঘ্রই  সাংবাদিক  সন্মেলন করবেন এবং  থানায় অভিযোগ দায়ের  করবেন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com