সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সন্ত্রাসীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। কেউ দেশে এবং কেউ দেশের বাহিরে পলাতক। ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট এর পূর্ব পর্যন্ত চলে এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এহেন কোন করমকান্ড নাই যা এদের দ্বারা সংগঠিত হয়নি। ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এদের কর্মকান্ড আরো বিস্তার লাভ করে। তানভীর আহমেদ উজ্বল ওরফে ফারুক আহমেদ উজ্বল। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সপাদক। নিজেকে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ এস এম জগলুল হায়দার এর পিএস পরিচয়ে এলাকাব্যাপী সন্ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে। বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায়, মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ছিলো তার আয়ের উৎস। সে নিজে বাদী হয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ কাজী আলাউদ্দীন সহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে। শেখ শাহজালাল ওরফে বোমা শাহজালাল। সে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এবং এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। অন্যের জমি দখল, ঘের দখল, চাঁদাবাজি
এমন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে তার সম্পৃক্ততা ছিলো না। তার বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যা এবং একটি বোমা মামলা রয়েছে। শেখ শাহাজালাল উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের একান্ত লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। শেখ শাহাজালাল ও উজ্বলের নেতৃত্বে মূলত গড়ে উঠেছিলো কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাহিনী। এই শাহাজালাল-উজ্বল বাহিনীর অন্যতম দুজন সদস্য হচ্ছে শাহাজালাল এর শ্যালক শেখ রেজাউল করিম রেজা (সদর যুবলীগের সভাপতি) এবং শেখ শহিদুল ইসলাম (উপজেলা শ্রমিকলীগের অন্যতম নেতা)। মূলত এদের নেতৃত্বে উপজেলা জানায়াত ও শিবিরের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এরা একত্রিত হয়ে প্রতিদিন কোন না কোন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়। দোকানপাট লুটপাট, সরকারি জমি দখল করে অন্যত্র বিক্রয়, বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, ঘের লুটপাট ছিলো এদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। শ্রমিকলীগ নেতা শেখ শহিদুল ছিলো থানার দালাল। সে বিএনপি-জামায়াত এর বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়ি যেয়ে তাদেরকে ধরিয়ে দিতো। এছাড়া সে কালিগঞ্জ শহীদ জিয়া কাঁচাবাজারের সরকারি সম্পত্তিতে ভুয়া দলিল করে বসবাস করে। বর্তমানে তার পরিবার সেখানে বসবাস করছে। ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর এদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে সাধারণ জনগণ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করে। এমতাবস্থায় এই সব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি এলাকার সুধীমহল সহ সাধারণ জনগণের।