কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ৮ দিন বয়সী এক কন্যা শিশুর অবশেষে বাবা মায়ের পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশুটি নাগেশ্বরী উপজেলার বাঁশেরতল বকশির খামার এলাকার জাহানারা বেগম ও নুর মোহাম্মদ দম্পতির সন্তান। গতকাল শনিবার (২৪ মে) দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল।
জানা গেছে, গত শুক্রবার(২৩ মে) সকালে উপজেলা সদরের বাংলালিংক টাওয়ার সংলগ্ন মিলন মিয়া ও আসমাউল হোসনা দম্পতি তাদের বাড়ির ওয়াশরুমের পাশে একটি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে শিশুটিকে উদ্ধার করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির অভিভাবক না পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করে শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটির ছবিসহ প্রকাশ হলে ওই শিশুটির বিমাতা ভাই শুক্রবার রাতে তার (শিশুটির) মাকে ফোন করে তথ্য জানায়। পরে রাত দুইটার দিকে অভিভাবক শিশুটির মা ভূরুঙ্গামারী থানায় যোগাযোগ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আসমাউল হোসনা ও জাহানারা বেগম সম্পর্কে খালাতো বোন। আসমাউল হোসনা নুর মোহাম্মদের আগের স্ত্রী ছিলেন বলে শিকার করেন আসমাউল হোসনা । গত ১৭ মে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নুরজাহান বেগম একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। নুরজাহানের স্বামী গত শুক্রবার সকালে ঘর থেকে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে ভূরুঙ্গামারীতে আসমাউল হোসনার কাছে রেখে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী থানার সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ও নার্সদের সহযোগিতায় শিশুটি এখন সুস্থ আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, শিশুটি সুস্থ আছে এবং তার অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউএনও, ওসি ও সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিততে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
এবিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল মাহমুদ জানান, শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরিচয় যাচাই বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে শিশুটিকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।