1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নীলফামারীতে গণঅধিকার পরিষদের কমিটি গঠন রাবির ‘গোল্ড বাংলাদেশ’র নতুন সভাপতি শতাব্দী, সম্পাদক সুমিত ১৭ বছর জনগণের হাতে বাংলাদেশের মালিকানা ছিলো না- অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা তালায় কপোতাক্ষ নদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ নারীর লাশ উদ্ধার পবিপ্রবি’তে পিএমবিএ প্রোগ্রামের ১১ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপিত পবিপ্রবি’তে পিএমবিএ প্রোগ্রামের ১১ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপিত কয়রায় প্রতারণা করে বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন জিয়ার দাদার বাড়ি মহিষাবানে কবিতা ‘জিয়া সাজারাহ’ ফলক উদ্বোধন করলেন সাবেক এমপি লালু ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে দায়ী করে যুবকের আত্মহত্যা

কেন্দুয়ায় প্রণোদনার বীজ ধান বিক্রি করছেন কৃষক

শামীম আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি, নেত্রকোনা ৩
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
প্রণোদনার বীজ ধান বিক্রি করছেন কৃষক

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরণ করা উফশী প্রণোদনার বীজ ও সার প্রকাশ্যে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

তালিকাভুক্ত অধিকাংশ নামধারী কৃষক তাদের নামে বরাদ্দকৃত বীজ ও সার অবাধে ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্য অপরদিকে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৫ হাজার ৩০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধান উফশী প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে ৩-৪ দিন ধরে।

বিতরণ করা প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার। এসব বীজ সার কৃষি বিভাগ থেকে সংগ্রহ করে প্রকাশ্যেই প্রতিজন নামধারী কৃষক তাদের নামে বরাদ্দ সার ও বীজ ৪৭০ থেকে ৪৮০ ও ৪৯০ টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এই ৫ কেজি বীজ ধান দিয়েই অন্তত পক্ষে ২৫ মন ধান উৎপাদন করা যেত যদি তারা চাষ করতেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে উফশী প্রণোদনা বিতরণের জন্য বরাদ্দ আসে। এরপর উপজেলা কমিটির মাধ্যমে বিভাজন করে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা তৈরির জন্য পাঠানো হয়। তারা তালিকা তৈরি করে পাঠানোর পর উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার ও বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্বজনপ্রীতির কারণে ওই তালিকা থেকে অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের নাম বাদ পড়েছে। দলপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃশাহিন মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সংখ্যা পাওয়ার পর সব ইউপি সদস্য ও তিনটি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা তৈরির জন্য দেওয়া হয়। আমরা সবাই মিলেই ওই তালিকা করে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত তালিকা উপজেলা কৃষি বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, তালিকা তৈরি করেছে পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটি। সেই তালিকা মোতাবেক প্রত্যেক কৃষকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি, মোবাইল নম্বর ও মাস্টাররোলে স্বাক্ষর গ্রহণ করে প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিতরণকালে আমি পরিদর্শনে গিয়ে দেখি ডিলারের কাছে প্রণোদনার বীজ সার বিক্রি করা হচ্ছে। তখন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে একজনের বীজ সার জব্দ করেছি। তাছাড়া যদি কোনো প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকেন তাহলে পরবর্তী সময়ে প্রণোদনা এলে সেই কৃষকের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একজন ডিলার বলেন, প্রতিজন কৃষক আমার কাছে স্লিপ নিয়ে আসছেন আমি ৪৮০ বা ৪৯০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি বীজ ধান ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার কিনে রাখছি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com