খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জুনান, রুবেল হত্যার তদন্ত কী হলো তাদের পরিবারের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর স্বনির্ভর এলাকায় সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত ও বৈসাবি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অমল ত্রিপুরার নেতৃত্বে একটি টিম। খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত জুনান চাকমা ও রুবেল ত্রিপুরা’র পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার তদন্ত কী হলো তা নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন। সম্প্রতি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপাতি অমল ত্রিপুরার নেতৃত্বে একটি টিম নিহত জুনান ও রুবেল ত্রিপুরার পরিবার এবং গুরুতর আহত (যারা এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেননি) নলেজ চাকমা, বিজয় চাকমাসহ বেশ কয়েকজনের সাথে তাদের নিজ বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাত ও বৈসাবি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ও আহতরা ঘটনার তদন্ত বিষয়ে সরকারের কাছে উক্ত প্রশ্ন রাখেন। টিমের মধ্যে আরো ছিলেন, ইউপিডিএফ সংগঠক লালন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পিসিপির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহসভাপতি অনিমেষ চাকমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। নিহতদের পরিবার ও আহতরা আক্ষেপ করে বলেন, উক্ত ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও ৭ মাসেও এ কমিটির তদন্ত কাজ কী হলো, তদন্তে কী পাওয়া গেল তা জানা যায়নি। আসলে তারা এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছে কিনা তাও আমরা জানি না। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, “আমরা ঘটনায় সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে কমিটির নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলাম। পরবর্তীতে তৎকালীন খাগড়াছড়ির ডিসির কাছে বেশ কয়েকবার গিয়ে তদন্তের খোঁজ নিয়েছিলাম। তখন প্রত্যেকবারে ডিসি বলেছিলেন তাঁর কাছে কোন রিপোর্ট জমা পড়েনি। পরে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানায় ডেকে নিয়ে মামলা করবে কিনা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমরা বলেছিলাম ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করতে চাই, তবে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করবো না। তখন ওসি আমাদেরকে বলেছিলেন যে, তাদের (সেনাবাহিনী) নামে মামলা করা যায় না। ফলে আমাদের আর মামলা করা সম্ভব হয়নি।” এসময় নিহতদের পরিবার ও আহতরা ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালায় এবং ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান।