নরসিংদীর রায়পুরায় গরু চোর সন্দেহে ক্রেতা মোঃমিজানুর রহমান(৩৫) নামের এক ক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার(২৬ শে নভেম্বর)ভোরে রায়পুরা পৌরসভার বৈকণ্ঠপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় আরো আহত হয়েছেন ৪ জন।খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, মিজানুর রহমানের পৈতৃক বাড়ী উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহচর গ্রামে।বর্তমানে তাদের পরিবারের সকলে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামে বসবাস করছেন।শনিবার বিকালে মিজান তার আত্মীয় উমর হাজীর ছেলে মনির হোসেনের বাড়ীতে দুটি গরুর বাছুর কিনতে আসেন।
সেখানে তার দুটি গরু পছন্দ হলে তা কিনে নেয়। রবিবার হরতাল থাকায় তারা পিকআপ যোগে দুটি গরু নিয়ে রওয়ানা দেন। ভোর ৪ টার দিকে রায়পুরা পৌরসভার বৈকুন্ঠপুর এলাকায় পৌঁছলে গরু চোর সন্দেহে তাদের আটক করেন এলাকাবাসী। পরে তাদের গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই মিজানুর রহমানের মৃত্যু ঘটে। এ সময় সাথে থাকা দুইজন গুরুতর আহত হয়।পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতের স্বজন মর্জিনা বেগম বলেন, মিজানুর রহমান গরু দুটি কিনে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে স্ট্যাম্প করে নিয়েছেন।
গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় পৌরসভা এলাকায় শাহজাহান ও জিল্লু গং মিজানুর আটক করে বেঁধে রাখেন।আটকানোর পর তাদেরকে বিভিন্ন প্রমাণসহ স্ট্যাম্প দেখানো হয়।তারা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বললেও মানেনি।তারা রড সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মিজানুরকে পিটিয়ে হত্যা করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের রক্ষা করতে গেলে নিহতের ভাবী আলেয়া,ভাই আনোয়ার ও আহত হয়েছেন।নিহতের ভাই আনোয়ার বলেন,তারা বিনাদোষে আমার ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে,আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(রায়পুরা সার্কেল) আফসান আলম ও রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(রায়পুরা সার্কেল) আফসান আলম বলেন,গরু চোর সন্দেহে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন ঘটনার পিছনে অন্য কোন কারণ আছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।